প্রজাতন্ত্র দিবস ২০২৩: ফিরে দেখা ভারতের জাতীয় পতাকার তাৎপর্য ও ইতিহাস


Odd বাংলা ডেস্ক: ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য তৈরি সারা দেশ। জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ১৫ অগাস্ট তারিখে ব্রিটিশ শাসকদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের তিন বছর পর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান। আর এই দিনটি পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে।

এই দিনে নয়া দিল্লির রাজপথে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। সেইসঙ্গে ভারতের সামরিক শক্তি এব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও প্রদর্শিত হয়। এদিন ভারতের রাষ্ট্রপতি তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। স্বাধীনতা দিবসের থেকে এর পার্থক্য এখানেই কারণ স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী।

জেনে নিন এই ত্রিবর্ণ পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস-

ভারতের জাতীয় পতাকা-ভারতের জাতীয় পতাকা একটি আয়তক্ষেত্রাকার যার সাথে অনুভূমিক ত্রিবর্ণ রয়েছে। শীর্ষে গেরুয়া, মাঝখানে সাদা এবং নীচে সবুজ। সাদা রঙের মধ্যে রয়েছে নেভি ব্লু রঙের অশোকচক্র, যার ২৪টি স্পোক রয়েছে।

ইতিহাস- ভারতের জাতীয় পতাকাটি একাধিক বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়ে আজকের রূপ পেয়েছে।  ১৯০6 সালের ৭ অগাস্ট কলকাতায় প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।  প্রথমে এতে তিনটি রঙের সমাগার থাকলেও লাল, হলুদ এবং সবুজ রঙ ছিল। 

অন্ধ্রপ্রদেশের পিংগালি ভেঙ্কাইয়া জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসাবে বিবেচিত। ১৯১২ সালে তিনি এটি মহাত্মা গান্ধীকে দেখিয়েছিলেন। এই নকশার কেন্দ্রে একটি চরকা ছিল। আধুনিক ত্রিবর্ণ পতাকায় যার অনেকটাই পরিবর্তন ঘটেছে।

রঙের তাৎপর্য- পদতাকার একদম শীর্ষে রয়েছে গেরুয়া, যা শক্তি এবং সাহসের প্রতীক মাঝখানের সাদা রঙ শান্তির প্রতীক এবং সবুজ উর্বরতা, বৃদ্ধি এবং পবিত্রতার প্রতিক। 

মাঝের চক্রটি সম্রাট অশোকের দ্বারা তৈরি করা সারনাথ সিংহ রাজধানীতে ‘আইন চক্র’ বা ধর্মচক্রকে চিত্রিত করে। এটি দেখায় যে স্থবিরতায় জীবন রয়েছে এবং স্থবিরতায় মৃত্যুও রয়েছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.