ভারতের এই মন্দিরে আছে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ, জানুন এর বিষয়ে


Odd বাংলা ডেস্ক: ওড়িশায় অবস্থিত পুরীর মন্দিরের কথা সবাই জানে। সেখানকার সম্পদের কথাও কারোর অজানা নয়। মন্দিরের যে এত সম্পদ হতে পারে তা ভাবতেই অবাক লাগে। এই মন্দিরে মোট সাতটি ঘরে মণি মুক্তা ঠাসা। আর সেই সাতটি কক্ষই হল গুপ্ত কক্ষ। তবুও বিশ্বের ধনী মন্দিরের তালিকায় পুরীর মন্দিরের নাম সপ্তমে। তাহলে প্রথমে কে? প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতেরই একটি মন্দির। এটি অবস্থিত দক্ষিন ভারতের কেরলের তিরুবনন্তপুরমে। এই মন্দিরটি “পদ্মনাভস্বামী মন্দির” নামে পরিচিত। এই মন্দিরটিই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের তকমা পেয়েছে। এখানের একটি ঘরে এত সোনার গহনা, হীরের গহনা ও মণি মানিক্য রয়েছে যে সেখানে কোন মানুষ প্রবেশ করতে পারেনা। কারণ সব সম্পদের পাহারায় থাকেন স্বয়ং নাগরাজ। এই কথাই সকলের মুখে মুখে প্রচলিত। এই মন্দিরের যে মূর্তি তা হল ভগবান বিষ্ণুর অনন্তশয্যার মূর্তি। মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায় যে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি পিটিশন দায়ের করেন এক আইপিএস অফিসার টিপি সুন্দরাজন। যাতে মন্দিরের সম্পত্তির হিসাব নিকাশ করে কোর্টের কাছে নথিভুক্ত করা হয়। 

 পিটিশন অনুযায়ী কোর্ট থেকে সাত জনের একটি দল পাঠানো হয় মন্দিরে সম্পত্তির হিসাব করতে। সেই দল তাদের কাজ করতে গিয়ে ছয়টি গুপ্ত ঘরের সন্ধান পায়। ঘরগুলি বন্ধ করা আছে কাল্লারা বা ভল্টের দ্বারা। তারা হিসাব রাখার জন্য ভল্টগুলিকে ইংরাজি হরফের A থেকে F পর্যন্ত চিহ্নিত করেন। সব ভল্টগুলি খোলা গেলেও খোলা যায়নি ভল্ট B। তখন মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয় যে প্রাচীনকালে মুণি ঋষিরা যজ্ঞ করে নাগপাশ মন্ত্র দিয়ে ঐ কক্ষ বন্ধ করেছিলেন। ঐ দরজা খোলার একমাত্র উপায় হল গুরুর মন্ত্র উচ্চারণ। B ভল্টের দরজায় রয়েছে সাপের প্রতিকৃতি। শাস্ত্রজ্ঞদের মতে এই দরজা খুললে হতে পারে প্রাণ সংশয়। আরও একটি অবাক করা বিষয় হল যে অফিসার পিটিশন দিয়েছিলেন, কাজ শুরু হওয়ার আগেই তার হটাত মৃত্যু হয়। আরো শোনা যায় যে এক সময় থাম্পি রাজার সেনারা আসে মন্দির লুঠ করতে। 

আর তারা কাল্লার B এর দরজা খোলার চেষ্টা করতেই তাদের তাড়া করেছিল হাজার হাজার সাপ। কাল্লার B এর সঙ্গে যুক্ত আছে দুটি ঘর, G ও H। সেই ঘর দুটি ২০১১ সালে খোলা গেলেও কেউ সেখানে প্রবেশ করার সাহস পায়নি। পদ্মনাভস্বামীর মন্দিরের দেখাশোনার দায়িত্ব হল কেরলের রাজবংশের। এখন সেই দায়িত্ব আছেন রাজকুমারি অশ্বথি থিরুনাল গৌরী লক্ষ্মীবাঈ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.