পরিকল্পনামাফিক হয়েও শেষ পর্যন্ত কৃত্রিম পা লাগাতে বাধা দিল 'সাহেবরাও', স্থগিত রইল অস্ত্রপোচার


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রস্তুতি ছিল জোরকদমে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রচেষ্টা সফল হল না। অস্থি বিশেষজ্ঞ শুশ্রুত বাবুলকার, পশুচিকিৎসক শিরীশ উপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এর চিকিৎসক কর্মী এবং একটি দল মিলে ৯ বছর বয়সী একটি বাঘের কৃত্রিম থাবা বসানোর চেষ্টায় ছিল। অস্ত্রপোচারল সফল হলেই এটাই হত বিশ্বে প্রথম বাঘের ক্ষেত্রে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন। 

শনিবার ছিল সেই দিন, যখন বিশেষজ্ঞদের দল সাহেবরাও-এর কৃত্রিম পা লাগানোর চেষ্টায় ছিলেন। প্রসঙ্গত, চোরাশিকারিদের পাতা ফাঁদে পড়ে গিয়ে বাম পায়ের সামনের থাবাটি ভীষণরকম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এরপর চিকিৎসকরা তার বাম পায়ের থাবার অংশটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই থেকেই ওই পায়ে ভীষণ যন্ত্রণা হত সাহেবরাওয়ের। এরপর বাঘটিকে নাগপুরের গোরেওয়াড়া রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছিল। গত ছ’বছর ধরেই সেখানেই ছিল সে। 

২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের অস্থি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুশ্রুত বাবুলকরের নজরে পরার পর তাকে কৃত্রিম থাবা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন তিনি। কিন্তু বাঘের অতিরিক্ত যন্ত্রণার কারণে কিছুতেই সেই অস্ত্রপোচার করা যাচ্ছিল না। 
এরপর শনিবার একসঙ্গে দু’টি অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেই মোতাবেক শনিবার সকালে সাহেবরাওয়ের অস্ত্রোপচার শুরু হলেও থাবার যন্ত্রণা সৃষ্টিকারী অংশটি বাদ দেওয়া হলেও কৃত্রিম পা লাগানোর অস্ত্রোপচারে বারবার বাধা দিতে থাকে সাহেবরাও। তখন সেই অস্ত্রোপচার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তবে থাবা বাদ দেওয়ার পর সাহেবরাও সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.