জীবের মুক্তিলাভে গুরু কী করতে পারে? এই বিষয়ে স্বামীজির যা মতামত ছিল


Odd বাংলা ডেস্ক: স্বামীজীর শিষ্য মন্মথনাথ গঙ্গোপাধ্যায় স্বামীজীকে প্রশ্ন করলেন, " মুক্তি কি গুরু দেন, না জীব সাধনাবলে মুক্তিলাভ করে ? "
স্বামীজী উত্তর দিলেন, " জীব নিজের ইচ্ছায় বদ্ধ হয়েছে । বদ্ধ হয়েছে বলেই তো সে জীব । অখণ্ড ব্রহ্মসত্তা থেকে সে নিজেই ইচ্ছাশক্তির দ্বারা ব্যাষ্টিত্ব লাভ করেছে এবং সেই থেকে নিজেকে আলাদা বলে ভাবছে । কেন এমন হলো ? এ প্রশ্নের কোন জবাব নেই । যদি বল কোন শক্তির দ্বারা হয়েছে, জীবের নিজের ইচ্ছায় হয়নি, তাহলে সেই শক্তির নাম হলো মায়া । মায়ার প্রভাবে জীব নিজের আলাদা অস্তিত্ব বোধ করে । মায়ার যে শক্তি, তার অনন্ত ধারা । জীব একা একা কি করবে ? তাই মায়াশক্তির সঙ্গে সে খেলে, খেলতে খেলতে ভুলে যায় কোথা থেকে সে এসেছে । প্রকৃতির ফাঁদে পড়ে ব্রহ্ম তখন কাঁদে । "
" ছোট ছেলেদের দেখেছিস ? একটা থাম ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে । জীবও ওই রকম নিজের বাসনা-বলে হাবুডুবু খাচ্ছে আর বলছে, 'বাঁচাও ।' ছোট ছেলে যদি বলে, 'আমার হাত খুলে দাও !' বড়রা কি করে ? হাসে, আর এই তামাশা দেখে । মায়ার শক্তি আশ্রয় করেই জীব ভোগ করে আর তাকেই বলে, 'দূর হ !' ঈশ্বর তখন সেই জীবকে উদ্ধার করতে ছুটে আসবেন ? না, মজা দেখবেন ? ছোট ছেলে হাত খুলে নেয়, যখন ঘুরপাক খাওয়ার ইচ্ছা তার শেষ হয় । জীবের মুক্তিও নির্ভর করে বাসনা-ত্যাগে । বাসনা ত্যাগ করার ইচ্ছা হলে তখন মুক্তির কথা । ত্যাগ হয়ে গেলেই মুক্তি ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.