গঙ্গাসাগরের সেকাল-একাল, জানুন অজানা গল্প

Odd বাংলা ডেস্ক: এককালে এই মেলার সকাল শুরু হত কয় ঘটিকায় স্নান সারতে হবে সেই ঘোষণার মাধ্যমে। এখন আর সেই ঘোষণা নেই। পরিবর্তে কোন শৌচালয় ফাঁকা রয়েছে, কোথায় লম্বা লাইন, বিনামূল্যের শৌচালয় কোথায় সেই ঘোষণা হয়। মেলা প্রাঙ্গণে শৌচালয়ের অভাব ছিল বরাবর। উন্মুক্ত স্থানেই শৌচকর্ম সারতেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু এখন প্রশাসনের তৎপরতায় মেলা প্রাঙ্গণ অনেক বেশি ঝা চকচকে। 

এই সব কিছুই আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে গঙ্গাসাগরকে। প্রযুক্তির উন্নতির হাত ধরে বদলেছে গঙ্গাসাগর মেলার করুণ কাহিনীও। মেলায় এসে স্বজন হারিয়ে যাওয়া ছিল এক চেনা ছবি। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সেই হিসাবও বদলে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গাসাগরের মেলায় হারিয়ে যাওয়া মানুষদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তা ছাড়া এখন যাঁরা এখানে আসেন তাঁদের অধিকাংশ মোবাইল ব্যবহার করেন। 

সে কারণে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও নিজেরাই যোগাযোগ করে নেন। এলাকার টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে প্রশাসন আরও তৎপর হচ্ছে। শহুরে সুযোগ সুবিধা এখানে পৌঁছে দিতে পারলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ আসতে আগ্রহী হবেন বলে আশা করছেন প্রশাসনের কর্তারা।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.