টেরোডাকটাইল: ডাইনোসর যুগের শেষ সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ১৬০ বছর আগে


Odd বাংলা ডেস্ক: সেই ডাইনোসর যুগে বিভিন্ন প্রকার বৃহত্তম সরীসৃপ উড়ন্ত প্রাণীরা আকাশে উড়ে বেড়াত । এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উড়ন্ত প্রাণী ছিল ‘কোয়েটজালোকোলাটাস(Quetzalcoatlus)’ ।এই আশ্চর্যজনক প্রানীটির পাখাগুলোর আকার প্রায় ১৩মিটার পর্যন্ত ছিল তার সত্ত্বেও এর ওজন ১০০কিলোগ্রামের বেশি ছিল না ।তবে এগুলো আসলে ডাইনোসর নয় এগুলো হচ্ছে ‘পার্থোসর’ । এই শ্রেণীরই আরও একটি ডাইনোসর হল টেরোডাকটাইল।  

১৮৬০ এর দশকে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় তোলা এই ছবিটি নিয়ে এখনো বিতর্ক আছে। কনফেডারেট আর ইউনিয়নের মধ্যে তখন তুমুল যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধবিরতির ফাঁকে শিকারে গিয়ে এই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীকে গুলি করে হত্যা করেছিলো ইউনিয়নের একদল সেনা। বিজ্ঞানীদের মতে লাখ লাখ বছর আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো পাখিসদৃশ উড়ন্ত সরীসৃপ টেরোডাকটাইল। যে কারণে, সেসময় ছবিতে কারিগরি ফলানো হয়েছে বলে জানান গবেষকরা। আবার অনেকে মনে করেন, কোনোভাবে টিকে থাকা টেরোডাকটাইলের শেষ সদস্যটিকেও হয়তো হত্যা করেছিলেন ওই সেনারা।


পৃথিবীতে প্রাণের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন ডেরেক লাসেন। কানাডায় ডাইনোসর সংক্রান্ত একটি জাদুঘরের গবেষক তিনি। তিনি বলেন, “ডাইনোসর গ্রুপেরই একটি অংশ হচ্ছে পাখি, ঠিক যেভাবে মানুষকে বলা হয় স্তন্যপায়ী প্রাণী। ডাইনোসর গ্রুপটি আসলে খুব বড়ো একটি গ্রুপ। সাড়ে ছ’কোটি বছরেরও আগে, উল্কাপিণ্ডের আঘাতের পর যে অন্ধকার যুগের সৃষ্টি হয়েছিলো, তা শেষ হতে হতে এই পৃথিবী থেকে বেশিরভাগ ডাইনোসরও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো। তবে আজকের দিনে যেসব পাখি, সেগুলোর যারা পূর্ব পুরুষ তারা কিন্তু বিলুপ্ত হয়নি। সারা পৃথিবী থেকে যখন বহু প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে গেলো তারপরেও সেগুলো বেঁচে যেতে সক্ষম হয়েছিলো। সেগুলোই তারপরে আজকের দিনের বিভিন্ন প্রজাতির পাখিতে পরিণত হয়।” কিন্তু আজকের দিনে আমরা যেসব পাখি দেখি সেগুলোর সাথে তো ডাইনোসরের কোনো মিল নেই। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ওই প্রাণীটির যেসব হাড়গোড় পাওয়া গেছে তার চেয়েও বহুগুণে ছোট এসব পাখি। অন্যান্য আরো বড়ো ধরনের তফাত আছেই। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু প্রাণী এমন থাকে যারা ব্যাতিক্রম হয়। সেরকমই এই টেরোডাকটাইল বেঁচে যায়। এবং অপরিণত অবস্থায় থেকে যায়। যার অবশেষে মৃত্যু ঘটে ১৮৬০ সালে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.