৪ লাখ টন পাথর কেটে ৮০০ শতাব্দীতে কে তৈরি করেছিল কৈলাস মন্দির? মানুষের পক্ষে তো অসম্ভব!



Odd বাংলা ডেস্ক: এই মন্দিরটি কবে নির্মাণ করা হয়েছিলো তার সঠিক ইতিহাস জানা যায় না। তবে মন্দিরের দেয়ালে বিভিন্ন লেখা এবং নকশা থেকে অনুমান করা হয় ৮ম শতকে এই লেখা বা নকশাগুলো তৈরি করা হয়েছিলো। ভারতের ইলোরায় গুহার ভেতরে নির্মাণ করা হয়েছিলো এই মন্দিরটি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিলো একটি নিরেট পাথরখন্ড কেটে। মূলত পাথুরে পাহাড়ের গা লম্বালম্বিভাবে কাটতে কাটতে রুপ দেয়া হয়েছে এই মন্দিরটি। অর্থাত ওপর থেকে পাথর কাটতে কাটতে নিচের দিকে নামতে হয়েছে, সেইসাথে রুপ দিতে হয়েছে এই সব অসাধারণ কাঠামো, প্রতিকৃতি এবং ঐতিহাসিক নানা বিষয়। আর ৪ লাখ টন পাথর কেটে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে এখান থেকে। যে কারণে অনেকে মনে করেন এই মন্দিরটি আদপেই মানুষের হাতে তৈরি হয়নি।

প্রাচীনকালের অনেক কিছুই আবিষ্কার হয়েছে এবং সেগুলো লুপ্ত হয়ে গেছে কিন্তু একথা স্বীকার করতে হবে যে প্রাচীন যুগের বিজ্ঞান চর্চা আমাদের এখনকার যুগের বিজ্ঞান চর্চার থেকে ছিল অনেক বেশি উন্নত যেমন পিরামিড। পিরামিডের থেকে পাওয়া তথ্য গুলি থেকে জানা যায় যে প্রাচীনকালে বিজ্ঞান চর্চা কতটা উন্নত ছিল। ঔরঙ্গাবাদ এর কৈলাস মন্দির ও এমনই এক সভ্যতার নিদর্শন।এই মন্দিরে এমন এক সভ্যতার লোকে বানিয়ে ছিল যা আজকের মানুষের সভ্যতার থেকে অনেক বেশি উন্নত। এটি একটি রহস্যময় শিব মন্দির। এই মন্দিরটির বয়স আজ পর্যন্ত জানা যায়নি, জানা যায়নি কিভাবে তৈরি হলো এই মন্দির। আজকালকার উন্নত বিজ্ঞানের যুগেও এই কৈলাস মন্দির এর মতো মন্দির বানানো অসম্ভব। এই মন্দির দেখে বিজ্ঞানীরা ও হতবাক। কিছু বিজ্ঞানী বলেন ১৯০০ আবার কেউ কেউ বলেন ৬০০০ বছর পুরনো। সব থেকে আশ্চর্যজনক ঘটনা এটি যে এই মন্দিরটি পাথর বা ইট এর তৈরী নয়। আবার অন্যান্য মন্দিরের মতো পাথরের টুকরো জুড়ে ও তৈরি করা হয়নি। এটি বানানো হয়েছে একটি মাত্র পাথর কেটে।ঠিক এই কারনে মন্দিরটি যে কবে বানানো হয়েছিল সেই কথার উত্তর দেওয়া আজও একেবারেই অসম্ভব।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.