প্রত্যেকদিন অন্তত একটা মৃত্যু! অভিশপ্ত এক জঙ্গলের কথা


Odd বাংলা ডেস্ক: গাছপালায় আচ্ছাদিত বনের গভীর অনুভূতি এমনিতেই আপনার স্নায়ুর ওপর বেশ প্রভাব ফেলবে। ঘন জঙ্গলে একা হারিয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চয়ই কল্পনাও করতে পারবেন না। মোট কথা, বনজঙ্গল নিয়ে আমাদের মনে অজানা একটা ভয় রয়েই গেছে। আর যদি জানেন এমন এক বনের কথা যেখানে সবর্ত্রই ছড়িয়ে আছে মৃত মানুষের হারগোড়, তবে সে বনে প্রবেশ করার কথা নিশ্চয়ই ১০ বার ভাববেন।

জাপানের রহস্যময় সুইসাইড ফরেস্ট ! যেখানে মানুষ যায় আত্মহত্যা করতে !! 



 জাপানের টোকিও শহর থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমে মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের পাদদেশে বাস্তবেই আছে এমন এক বন যেখানে মানুষ শুধু আত্মহত্যাই করতে যায়। স্থানীয়ভাবে জুকাই নামে পরিচিত মাউন্ট ফুজির উত্তর পাদদেশে ঘন গাছ-গাছালিতে আচ্ছাদিত নিঝুম এই বনের নাম অকিগাহারা। কিন্তু এটি সুইসাইড ফরেস্ট বা আত্মহত্যার বন নামেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত। ৩৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই বন থেকে প্রতিবছর গড়ে একশ জন মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১০ সালে ২৪৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো বলে জানা যায়। কিন্তু কি কারণে এই বনে এত মানুষ আত্মহত্যা করতে আসে? স্থানীয়দের মতে অভিশপ্ত এই বন মানুষকে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচিত করে। এখানে কেউ একা প্রবেশ করলে জাদুকরী মায়ায় তাকে আবিষ্ট করে ফেলে এই বন। ফলে তার পক্ষে আর বের হয়ে আসা সম্ভব হয় না। আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে তার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। স্থানীয়রা যে কারণে রহস্যময় এই বনটি এড়িয়ে চলে। পারতপক্ষে কেউ ঢুকতে চায় না ওই বনে। আবার কারো মতে, ১৯৭০ এর দশকে বিখ্যাত এক জাপানি লেখকের একটি গল্প থেকে অনুপ্রাণীত হয়ে প্রথম দিকে এখানে আত্মহত্যা করেছিলো কেউ। এরপর থেকে আরো অনেকেই এই নির্জন বনে আসতে থাকে আত্মহত্যা করার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনৈতিক মন্দা এবং বেকারত্বের কারণে জাপানে আত্মহত্যার হার এমনিতেই বেশী। আর হতাশাগ্রস্ত মানুষ মুক্তির আশায় এই বনে এসে আত্মহত্যা করছে। কিন্তু আসলেই কি তাই? আপনাদের কি মনে হয় তা কমেন্টে জানান।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.