উলঙ্গ গ্রাম: টাকা-পয়সা সবই আছে, শুধু নেই জামা-কাপড়!


Odd বাংলা ডেস্ক: গ্রামটির বাসিন্দারা আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। শৌখিনও বলা যেতে পারে। গলায় সোনার চেন, চোখে দামি সানগ্লাস, হাতে দামি আংটি— কী নেই! এছাড়াও ওই গ্রামে শিশুদের জন্য রয়েছে বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক। রয়েছে বড় পানশালা, রেস্তোরাঁ। তবে সব থেকেও গ্রামটিতে যে জিনিস নেই তা হলো বাসিন্দাদের গায়ে কোনো জামা-কাপড় নেই! এটা সদ্য আধুনিক হয়ে ওঠা কোনো আদিবাসী গ্রাম নয়। দক্ষিণ আমেরিকা কাওয়াহিবাদের কথাও বলছি না। এই গ্রামের বাসিন্দারা খাঁটি ব্রিটিশ। ব্রিটেনের হার্টফোর্ডশায়ারের এই গ্রামের নাম স্পিলপ্লাজ।

শোনা যায়, ১৯২৯ সালে লন্ডন ছেড়ে চার্লস ম্যাকস্কি এবং তার স্ত্রী ডোরথি এ অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন। প্রথমে জমি কিনে তাঁবু তৈরি করে দু’জনে বসবাস শুরু করেন। এলাকাটির নাম দেন ‘স্পিলপ্লাজ’, যার অর্থ হলো খেলার জায়গা। সপ্তাহ পর পর ম্যাকস্কি আর ডোরথির পরিচিতরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে এখানে আসতেন। এভাবে ধীরে ধীরে ম্যাকস্কি আর ডোরথির অতিথিদের অনেকে এখানে বসবাস শুরু করেন। ১২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এই গ্রামে বর্তমানে মোট ৫৫টি বাড়ি রয়েছে।

ম্যাকস্কি আর ডোরথিদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে রয়েছে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় যাবতীয় আধুনিক সরঞ্জাম। এমনকি আধুনিক জামা-কাপড়ও রয়েছে তাদের কাছে। গ্রামের বাইরে গেলে জামা-কাপড় পরেই যান তারা। তবে গ্রামে থাকার সময় নগ্নতাই পছন্দ তাদের। স্পিলপ্লাজ গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামটিকে ব্রিটেনের সবচেয়ে পুরনো নগ্নতাবাদী অঞ্চল বলে দাবি করেন। বাসিন্দাদের এই নগ্নতাবাদকে সমর্থন না করতে পারলে, এখানে এক চিলতেও জমি-জায়গা কেনা যাবে না। তবে স্পিলপ্লাজের বাসিন্দাদের নগ্নতাকে মেনে নিতে পারলে সেখানে পানির দামে জমি পেয়ে যেতে পারেন আপনিও।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.