ব্যবসায় সাফল্য লাভে স্থাপন করুন এই গণেশের মূর্তি


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রত্যেকটা মানুষ চায় জীবনে সফলতা লাভ করতে। সবাই চায় জীবনে অর্থ আসুক, জীবন সুখের হয়ে উঠুক। আর্থিক ও মানসিক দিক থেকে জীবনে শান্তি বজায় থাকে। আর এই সুখ শান্তি বজায় রাখার জন্য আমরা অনেক পুজো আর্চা করে থাকি, অনেক ব্রত পালন করি। অনেকে বাস্তুশাস্ত্র মতে অনেক কিছু করে থাকি বা মেনে চলি। অনেক মানুষ আছেন যারা ব্যবসার সাথে যুক্ত। আর প্রত্যেক ব্যবসায়ী চায় তার ব্যবসায় যেন সাফল্য বজায় থাকে। আর্থিক ভাবে যেন কোনো বাধা না আসে। ব্যবসায়ীরা গণেশ পুজোতে খুবই বিশ্বাসী হন। গণেশকে সিদ্ধিদাতা বলা হয়ে থাকে, আর সেই কারনে ব্যবসায়ীরা এই পুজো করে থাকেন। হিন্দু সম্প্রদায়ে সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ ও জ্ঞ্যানের দেবতা হিসাবে পুজো করা হয় গণেশকে। মানসিক শক্তি, পরিবারের সুখ শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধির দেবতা হলেন গণপতি। বেদ অনুযায়ী সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদ ছাড়া ধর্মীয় সিদ্ধি সম্ভব নয়, তাই গণেশ পুজো সবার আগে হয়।

 বাস্তুমতে বুধবার গনপতি দেবের বার বলে মনে করা হয়। শাস্ত্র মতে প্রতি বুধবারে গণপতিদেবের পুজো করার নিদান দেওয়া হয়। এতে ঘরের সুখ শান্তি বজায় থাকে, আর্থিক দিক থেকে কোনোরকম বাধা বিপত্তি আসে না। গণেশ সিদ্ধির দেবতা তাই ব্যবসায় সাফল্য পেতে গণেশের পুজো করার নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। অফিসে বা ব্যবসার স্থানে স্থাপন করতে পারেন গণেশ মূর্তি। তবে মূর্তি স্থাপন করার সময় কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। ব্যবসার স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে এমন গণেশ মূর্তি স্থাপন করুন, যার পা মাটিতে ছুঁয়ে থাকবে। সাদা রঙের গণেশ মূর্তি বা গণেশের প্রতিকৃত ব্যবসার স্থানে স্থাপন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

 অফিসে বা ব্যবসার স্থানে সবসময় চেষ্টা করুন প্রবেশ দ্বারের মুখে গণেশ মূর্তি স্থাপন করতে। যাতে বাইরের থেকে কোনো নেগেটিভ শক্তি ঘরে প্রবেশ না করতে পারে। গণেশ মূর্তি স্থাপনের আগে সেই জায়গা পরিষ্কার করে শুদ্ধ কাপড়ে মূর্তি রেখে মন্ত্র উচ্চারন করে পুরোহিত দিয়ে পুজো করিয়ে প্রান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ধূপ জ্বালিয়ে আরতি করে গণেশ বন্দনা করুন। মূর্তিতে লাল টিকা দিয়ে নারকেল ভেঙ্গে বাড়ির অশুভ শক্তি দূর করুন। ঠাকুরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে তিনবার আরতি করুন। প্রতি বুধবার এই নিয়ম মেনে চললে ব্যবসায় দ্রুত উন্নতি লাভ হবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.