বাংলা সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রিতে মেয়েরা কি সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারে? রূপাঞ্জনার অভিযোগের পর আতঙ্কিত নবাগতারা


Odd বাংলা ডেস্ক: মিটু আন্দোলনে গোটা দেশ আগেই তোলপাড় হয়েছিল। অভিনেতা, পরিচালক, সাংবাদিক কেউ বাদ যায়নি। এবং এটা হওয়াও উচিত ছিল। কারন কাজের লোভ দেখিয়ে একজন নারীর শরীর ভোগ করতে চাওয়া শুধু লজ্জার নয়। সেই ইন্ডাষ্ট্রির ম্যাচুরিটি নিয়েও প্রশ্নের কারন। আর এবার বাংলা সংস্কৃতি জগতের গায়েই কালি। কুকর্মের অভিযোগ বাংলার বিখ্যাত পরিচালকের বিরুদ্ধে। “অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘ভূমিকন্যা’ সিরিয়ালের প্রথম এপিসোডের স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনার জন্য আমায় ওঁর অফিসে ডাকা হয়েছিল। মনে আছে, তখন পুজো আসছে আসছে এমন একটা সময়। সম্ভবত তৃতীয়া। বিকেল পাঁচটার সময় আমায় পৌঁছতে বলা হয়েছিল। সেই মতো অরিন্দমের অফিসে যেতেই দেখি অফিস ফাঁকা, শুধু প্রোডাকশনের ছেলে ছিল। বিকেল পাঁচটার সময় অফিস ফাঁকা দেখে প্রথমে একটু অস্বস্তি হয়েছিল। ঢুকতেই তিনি জিজ্ঞসা করেন, চা খাবি? চায়ের লোকটি চা দিয়ে যাওয়ার পরেই সেখান থেকে কায়দা করে তাঁকে সরে যেতে বলেন উনি। তখন অফিসে শুধু আমরা দু’জন। আমার ভীষণ আনক্যানি ফিল হচ্ছিল। আর ওঁর চেম্বারটা এমন ভেতরে যে চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাবে না। হঠাৎই নিজের জায়গা থেকে উঠে এসে ঘরেই একটা কাউচে এসে বসলেন। বলে বোঝাতে পারব না। ওঁর বসা, কথা বলা…ভীষণ ইঙ্গিতপূর্ণ। হাত বাড়িয়ে আমাকে ডাকছে।” এনিয়ে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেও লিখেছেন রূপাঞ্জনা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, “এটা কোনও খবর নয়, এটি অভিনেত্রী জীবনের আক্ষেপ যে এমন একটি ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেছিল। খারাপ লাগছে এটা ভেবে বহু কষ্টে নিজের একটা জায়গা তৈরি করেছি এই ইন্ডাস্ট্রিতে, সেই জায়গাটাই কিছু মানুষ ক্ষুদ্র করে দিতে চেয়েছিল। 

অরিন্দম শীল যদি এই ধরনের কাজ করে থাকেন, তাহলে এর একটা কুপ্রভাব পড়বে বাংলা সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রিতে। আমরা জানি অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার সিনেমার থেকে বাংলার সিনেমা জগতের উন্নয়ন হয়েছে অনেক আগেই। বাংলার ছেলেমেয়েরা এই ইন্ডাষ্ট্রিতে কাজ করতে আসে খুব আশার সঙ্গে। কিন্তু এই ঘটনাতে নতুন মেয়েরা ভয় পাবে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.