যৌনতায় ভরা দেশ, গেলেই মিলবে উষ্ণতার হাতছানি
Odd বাংলা ডেস্ক: সেক্স ট্যুরিজম বিশ্বের অনেক দেশ এখন সৃষ্টির আদিম নেশা ‘যৌনতার’ ওপর ভর তাদের পর্যটন শিল্পকে বাড়াতে তৎপর হয়েছে।
পর্যটকরাও যৌনতার ক্ষুধা মেটাতে ছুটে যাচ্ছেন এসব দেশে। নারী সান্নিধ্যের আশায় পাড়ি জমাচ্ছেন দেশ থেকে দেশে। বিভিন্ন দেশ থেকে যৌনকর্মীরাও রোজগারের আশায় ছুটছেন ওইসব দেশে। আর সেক্স ট্যুরিজমের মানচিত্রে নিত্যনতুন যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দেশ।
জেনে নিন সেক্স ট্যুরিজমে জনপ্রিয়তার নিরিখে তালিকার প্রথম দিকে থাকা কয়েকটি দেশ ও স্থানের নাম।
থাইল্যান্ড:
সেক্স ট্যুরিজমে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি নাম থাইল্যান্ড। পর্যটকদের মনোরঞ্জনে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যৌনকর্মীরা এসে ভিড় করে এখানে।
দেশটির একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে যৌনতাকেন্দ্রীক পর্যটন শহর। দিনের বেলা সেসব জায়গা যতটা নিরব, রাত নামতেই ঠিক ততটাই সরব। লাল-নীল আলোয় রাতভর যেন ভিন্ন এক পরিবেশ। অসংখ্যা ম্যাসেজ পার্লার, স্পা ও নাইটক্লাবের ছদ্মবেশে চলে অবাধ যৌনতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অর্থনীতিকে মজবুত করতে সেক্স ট্যুরিজমকেই হাতিয়ার হিসেবে বেঁছে নেয় দেশটি।
তাই দেশটি বিশ্বের নানা দেশের পর্যটককে সহজেই আকৃষ্ট করছে। তবে সেখানকার যৌনকর্মীরা এশিয়ানদের একটু কমই পছন্দ করে। তাদের ধারণা, এশিয়ানদের পকেটে অর্থ একটু কমই থাকে। তাই এড়িয়ে যেতে চায়। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের পর্যটক পেলে নানাভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে।
ইন্দোনেশিয়া:
ইন্দোনেশিয়ায় দেহ ব্যবসা শুধু আইনত স্বীকৃত-ই নয়; সেক্স ট্যুরিজম সে দেশের সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের উপায়। তবে অবাধ যৌনতার জেরে ইন্দোনেশিয়ায় জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো বা নাবালিকা অত্যাচার ক্রমেই বাড়ছে। বিষয়টি সে দেশের সরকারকেও ভাবিয়ে তুলেছে।
লাস ভেগাস:
আমেরিকার এই শহর সব পেয়েছির ঠিকানা। শহরে যৌনতার রমরমা সম্পর্কে ইঙ্গিত করতে বলা হয়, হোয়াট হেপেনস্ ইন ভোস, রিমেইনস ইন ভেগাস। এখানে যৌনতা শুধু ব্যবসা অথবা বিনোদন নয়, শরীরী ভাষা উদযাপনেরও মাধ্যম। মরুভূমি অধ্যূষিত নিসর্গে অচেনা সঙ্গীর দেহজ সান্নিধ্য বেঁচে থাকার ক্ষণিক রসদ জোগায় বই কি!
বুলগেরিয়া:
যৌন পর্যটনের পীঠস্থান সানি বিচ রিসোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বাস্তব ও কল্পনার অভাবনীয় মিশেল। শোনা যায়, এই সৈকতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেহ ব্যবসায়ী ভিড় জমান। তাদের অনেকেই আসেন প্রতিবেশী দেশ থেকে। অনেকটা খুল্লাম খুল্লা এই সানি বিচ। কে কী পরে ঘুরলো, আর কে কিছু পরলো না তা নিয়ে মাথা ঘামায় না কেউ। এই বিচ রিসোর্টটি বিভিন্ন পানির খেলা এবং যৌনতায় ভরা রাতের পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা বুলগেরিয়ায় ছুটে যান সানি বিচ রিসোর্টকে উদ্দেশ্য করে।
দক্ষিণ কোরিয়া:
এদেশে যৌনতা নিয়ে শুচিবায়ু নেই। ক্ষণিকের শয্যাসঙ্গী জোগাড় করতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে রয়েছে একাধিক এসকর্ট সার্ভিসের ব্যবস্থা। হোটেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়াও মেলে সুলভে। সস্তায় যৌনসঙ্গী মিলে যাওয়ায় ভ্রমণের জন্য অনেকেরই পছন্দ দেশটি।
নেপাল:
বিশ্বের আরেকটি পর্যটননির্ভর দেশ হিমালয়কন্যা নেপাল। প্রতি বছর লাখো পর্যটক দেশটিতে ছুটে যান প্রাকৃতিক নৈস্বর্গের পরশ পেতে। এরমধ্যে একটি অংশ সেখানে যান যৌনতার টানে। দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখরা ও তরাইয়ের শহরাঞ্চলে দেহ ব্যবসা রমরমা। বাণিজ্য জমে ওঠে হোটেলের দামি ঘর থেকে শুরু করে নিষিদ্ধপল্লির অন্ধকার আস্তানায়। কাঠমান্ডুর থামেলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ম্যাসাজ পার্লার, যেখানে অবৈধ দেহ ব্যবসার পসার সাজানো। এছাড়া বিভিন্ন রেস্তোরাঁর কেবিন ও ডান্স বারগুলিতেও দেহজ বিনোদনের ছড়াছড়ি।
আর্জেন্টিনা:
পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। ১৮৮৭ সাল থেকে এদেশে বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। এই কারণে আর্জেন্টিনায় সমকামী দেহ ব্যবসায়ীর চাহিদা তুঙ্গে। সরকারের পক্ষ থেকেও সমকামী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যৌন পর্যটনের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চাইছে ম্যারাডোনা-মেসির দেশ।
কিউবা:
নিসর্গ, সংস্কৃতি ও চুরুটের স্বর্গরাজ্য খ্যাত দ্বীপরাষ্ট্র কিউবায় প্রতি বছর পাড়ি জমান অজস্র পর্যটক। তবে এদের বড় একটি অংশ আসেন যৌনতার আকর্ষণে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, নাবালক যৌনসঙ্গীও সুলভে মেলে এই দেশে।
নেদারল্যান্ডস:
দেহ ব্যবসা নেদারল্যান্ডসে খুবই জনপ্রিয়। যৌনতা নিয়ে নেদারল্যান্ডসে কোনও সামাজিক বাধা নেই, নেই আইনগত বাধাও। অবাধ যৌনতাই সে দেশের ট্র্যাডিশন। আর এমন খুল্লামখুল্লা পরিবেশের টানে অনেক পর্যটকই ছুটে যান দেশটিতে।
কেনিয়া:
আফ্রিকার এই দেশে যৌন ব্যবসার নানা রূপ। স্ট্রিপ ডান্স বার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রিসোর্ট ও স্পা-তে সুলভে দৈহিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা রয়েছে । এমনকি ছুটি কাটাতে এসে টানা কয়েক দিনের জন্যও সঙ্গী মেলে কেনিয়ায়। তাকে নিয়ে স্ত্রীর মতো একসঙ্গে থাকা, ঘুরে বেড়ানো সবই করতে পারবেন, শুধু ফেরার সময় চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিয়ে আসবেন।
Post a Comment