রাতে ঘুমোনোর সময় গলা শুকিয়ে আসে? হতে পারে মারণ রোগের ইঙ্গিত, রইল প্রতিকার


Odd বাংলা ডেস্ক: আজকাল রাতে শুতে যাওয়ার আগে অদ্ভুতভাবে গলা শুকিয়ে যায়? বার বার জল খেলেও তৃষ্ণা যেন মেটেই না। বিষয়টডি এড়িয়ে যাবেন না। কারণ আপনার অজান্তেই আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারণ রোগ। 

১) এইডস- এইডস-এ আক্রান্তরা মুখ শুকিয়ে যাবার মতো সমস্যায় ভোগেন। এই ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলা করার মত কোশগুলি ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতি করে। যার ফলে তা অনেকসময়ে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।  

২) হরমোনের পরিবর্তন- ইস্ট্রোজেন একাধারে মুখের লালার গঠন ও প্রবাহকে প্রভাবিত করে। মহিলারা এই কারণের জন্য, গর্ভাবস্থা ও মেনোপোজের সময় মুখ শুকিয়ে যাওয়া হরমোনের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত সমস্যায় ভোগেন। 

৩) স্নায়ুর ক্ষতি- মুখের স্নায়ুর দ্বারা লালাগ্রন্থির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। ঘাড় কিংবা মাথার কোন ক্ষতি থেকে এইসব স্নায়ুর ক্ষতি হয়ে থাকে, যা লালার উৎপাদন কমিয়ে দেয়।  

৪) কেমো এবং রেডিয়েশান থেরাপি- কেমোথেরাপি লালাকে পুরু করে দেয়, ফলে মুখ শুকিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসা বন্ধ করার ২ থেকে ৮ সপ্তাহ বাদে পরিষ্কার হয়ে যায়। মাথা, মুখ বা ঘাড়ের রেডিয়েশান থেরাপি থেকে শুষ্ক মুখের সমস্যা হয়। চিকিৎসা শেষ হবার পরে পুনরায় লালা উৎপাদন শুরু করতে লালা গ্রন্থির প্রায় ৬ মাস মতো সময় লাগে। 

৫) ডিহাইড্রেশান- পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্লুয়িড না খাওয়ার জন্য ডিহাইড্রেশান হতে পারে। শরীর যদি ডিহাইড্রেটেড থাকে, তাহলে শরীর কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ লালা তৈরি করতে পারে না এবং মুখ শুকিয়ে যায়। 
৬) লালা গ্রন্থির সংক্রমণ- লালা গ্রন্থি যদি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়, তাহলে জ্বালা-যন্ত্রণার সঙ্গে লালার উৎপাদন কমে গিয়ে শুষ্ক মুখের সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। যেমন- মাম্পস। 

৭) মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া- সর্দি হয়ে নাসারন্ধ্র আটকে গেলে এমনটা হয়। নাসাল পোলিপ্স, টিন্সিল বেড়ে যাওয়া সহ অ্যাডেনোয়েড, অ্যালার্জিক রাইনিটিস, বিভাজিত নেজাল স্পেক্ট্রাম ইত্যাদির কারণে মুখ শুকিয়ে যায়। 

তবে ঘরোয়া উপায়ের সাহায্যে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব- 

  • দারচিনি- শুষ্ক মুখের সমস্যার আয়ুর্বেদিক নিরাময় হল দারচিনি। প্রতিবার খাওয়ার পরে বা যখন মুখ শুকিয়ে যাবে মুখে এক টুকরো দারচিনি রাখুন। 
  • আদা- আদা মুখের লালাকে উদ্দীপিত করার সাথে মুখকে অনেকক্ষণ তাজা করে রাখে। সমস্যা হলে মুখে এক কুচি আদা রেখে দিন। 
  • লেবুর রস- লেবুর রস লালার উৎপাদন বাড়ায়। এর অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য মুখকে পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গন্ধও দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য এক গ্লাস জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খান এবং হাইড্রেটেড থাকুন।
  • মৌরি- মৌরির বীজের মধ্যে থাকে ফ্ল্যাবনয়েড, যা লালার প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এর স্বাদ দুর্গন্ধের মোকাবিলা করে। দিনের বিভিন্ন সময় মুখে মৌরির বীজ রাখুন। সুফল পাবেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.