পুরুষ বাঘ হয়েও সন্তান পালন করত, চলে গেল ডলার


Odd বাংলা ডেস্ক: কে বলেছে বাঘের মন নেই। পশু-পাখিরাও আমার আপনার মতোই একটা সমাজে বসবাস করে। আর সেটা প্রমাণ করেছিল রণথম্বোরের ডলার নামের এই পুরুষ বাঘটি। মানুষের সঙ্গ একেবারেই না পসন্দ ছিল ডলারের। বরং মানুষ দেখলেই ক্ষেপে উঠত সে। একেবারে তেড়েফুঁড়ে তাড়া করত আশেপাশে ঘেঁষতে আসা সকলকেই। গোটা রণথম্বোর জুড়ে রাজ করত ডলার ওরফে জালিম। তার ভয়ে আশেপাশে ঘেঁষতে সাহস পেত না জাতীয় উদ্যানের বাকি বাঘরাও। এমনকি দেখভাল করার কর্মীরাও বেশ ভয়েই থাকতেন তিরিক্ষি মেজাজের ডলারকে নিয়ে। তবে এমন সাংঘাতিক বাঘের এ হেন আচমকা মৃত্যুতে ধন্দে বনদফতর। কী কারণে ডলারের মৃত্যু হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন বনকর্মীরা।

ডলারের জীবন সম্পর্কে জানলে আপনারা আরও অবাক হবেন। ২০০০ সালে জন্মেছিল ডলার। বয়স হয়েছিল মাত্র ২০ বছর। রণথম্বোরের ত্রাস, রুক্ষ মেজাজের এই বাঘের অবশ্য ছিল ভীষণ দয়ামায়া। একথা অনেক পরে বুঝতে পারেন বনকর্মীরা। কারণ অনাথ হয়ে যাওয়া দুই বাঘের সন্তানকে একাই বড় করেছে ডলার। সাধারণত পুরুষ বাঘেদের ক্ষেত্রে এই চরিত্র বিরল। বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে সবকিছু একা সামলায় বাঘিনীই। তবে এক্ষেত্রে হয়েছে ঠিক উল্টোটাই। ২০১০ সালে ডলারের কীর্তি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন রণথম্বোরের কর্মীরা।

অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিল রণথম্বোরেরই এক বাঘিনী। তার দুই সন্তানকে আগলে রেখেছিল ডলার। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, ডলারের দুই সন্তানের নাম ছিল বীণা-১ এবং বীণা-২। নিজেদের মাকে হারানোর সময় এই দুই ব্যাঘ্রশাবকের বয়স ছিল মাত্র পাঁচমাস। বনকর্মীরা ভেবেছিলেন হয়তো অকালেই উদ্যানের বাকি পুরুষ বাঘেদের শিকার হবে এই দুই ছানা। কারণ এসব ক্ষেত্রে পুরুষ বাঘেদের বিন্দুমাত্র দয়ামায়া থাকে না। তবে বনকর্মীদের সমস্ত আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে দিয়েছিল ডলার।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.