৩০ শে ফ্রেবুয়ারি দিনটি কিন্তু সত্যিই ছিল, তাহলে বন্ধ হল কেন?


Odd বাংলা ডেস্ক: আমরা জানি ছোট থেকেই ৩০শে ফেব্রুয়ারি মানে আসলে একটি ঠাট্টা সূচক তারিখ। আপনাকে কেউ এই তারিখটা বলে ঠকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জানেন কি ৩০শে ফেব্রুয়ারি বাস্তবে ছিল। এই কয়েকশো বছর আগেই। আসলে বর্তমানে যে ক্যালেন্ডার আমরা ব্যবহার করি সেটাতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের একটি প্রভাব রয়েছে।

৩০ ফেব্রুয়ারির ইতিহাস

এখন এই গ্রেগরিয়ানদের ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যায় যে এরা খুব যুদ্ধবাজ একটি জাতি ছিল।  সুইডিশ সাম্রাজ্যে (যে সময় ফিনল্যান্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল) জুলিয়ান পঞ্জিকার পরিবর্তে ১৭০০ সাল থেকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার শুরু করা হয় এবং পরবর্তী ৪০ বৎসরের জন্য লিপ দিন (মানে ২৯শে ফেব্রুয়ারি) গুলি বাতিলের পরিকল্পনা করা হয়। যদিও ফেব্রুয়ারি ১৭০০ সালে অধিবর্ষ দিনটি বাদ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু, পরের বছরই গ্রেট নর্দার্ন যুদ্ধ শুরু হয়, সুইডিশদের পক্ষে এই সময় ক্যালেন্ডার পরিবর্তনে মনোনিবেশ করা সম্ভব হয়নি, ফলে পরবর্তী দুইবার অধিবর্ষে অতিরিক্ত দিনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি এবং ১৭০৪ এবং ১৭০৮ সালে পূর্বের মত অধিবর্ষ পালন করা হয়। 

এবং সেই অনুযায়ীই আজই অধিবর্ষ ৪ বছর পরপর পালন করা হয়ে আসছে। কিন্তু এখানে একটা সমস্যা হয়। আগেই তারা কয়েকটি লিপইয়ারের ১ দিন করে কেটে রেখে দিয়েছিল। ফলে বকেয়া দিনের হিসেবটা যাবে কোথায়। রাষ্ট্রে বিশাল সমস্যা হতে পারে। দিনপঞ্জী থেকে ব্যবসায়ীক হিসেবেও সমস্যা হবে।
১৭১২ সালের ক্যালেন্ডার। Image Source: National Archive, Sweden


অতএব আগের তারিখগুলিকে ক্যালেন্ডারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।  বিভ্রান্তি এবং আরও ভুল এড়ানোর জন্য, ১৭১২ সাল থেকে পুনরায় জুলিয়ান পঞ্জিকা ব্যবহার শুরু করা হয়, এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অধিবর্ষ দিনটি ছাড়াও অতিরিক্ত একটি দিন যোগ করা হয় এবং ঐ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ দিন ছিল। 

CLICK-BUTTON
Blogger দ্বারা পরিচালিত.