ROSE DAY- তে মেয়েদের স্কুলে ঢুকে জোর করে চুমুর চেষ্টা প্রেমিকের


Odd বাংলা ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে ভালোবাসার সপ্তাহ, যা বলতে পারেন বর্তমানের প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য সবথেকে বড় উৎসব। সেই অনুষ্ঠানের প্রথম দিন, যা গোলাপ দিবস ‘রোজ ডে’ নামে পরিচিত। আর ওইদিন অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন এক প্রেমিক। ‘রোজ ডে’ এর দিন স্কুলে ঢুকে এক ছাত্রীকে চুল ধরে মে’রে টেনে বাইরে বের করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শহরের মহারাণী ইন্দিরাদেবী বালিকা বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় স্কুল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্কুলের ছাত্রী ও অবিভাবকদের মধ্যেও এই নিয়ে উত্তে’জনা চরমে পৌঁছায়। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে শুক্রবার স্কুলে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই জন্য ক্লাস হবে না বলে স্কুলের পোশাক ছাড়াও শাড়ি পরে আসে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা। খাওয়ার দিন হওয়ায় স্কুল গেটে ভিড় করেন ছাত্রীদের অভিভাবকরাও। সেই সুযোগে গেটের মহিলা রক্ষীকে এক ছাত্রীর ‘দাদা’ পরিচয় দিয়ে স্কুল চত্বরে ঢুকে যায় অভি’যুক্ত যুবক। এর পর ক্লাসরুমে থাকা একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে চুল ধরে টেনে নিয়ে যায়, জো’র করে চু’ম্বনের চেষ্টাও করে বলে জানা গেছে সে। 

চলতে থাকে কি’ল-চ’ড়-ঘু’ষি মা’রাও। ওই ছাত্রীকে টোটোতে তুলে নিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে অভি’যুক্ত যুবক। তখনই অন্য ছাত্রী ও অভিভাবকদের চিৎ’কারে ছুটে আসেন শিক্ষিকারা। পরিস্থিতি নজরে আসতেই স্কুলের ছাত্রীরা ছেলেটির উপর ঝাপিয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছেলেটি চম্পট দেয়। প্রধান শিক্ষিকা পারমিতা চৌধুরী বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, সাত মাস ধরে এই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যুবকটির। সেই সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই ছেলেটি রাস্তায় বি’রক্ত করত। কিন্তু ছাত্রীর পরিবার কোনও পদক্ষেপ করেনি।’ স্কুলের ছাত্রীদের নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ক্যাম্পের জন্য আবেদন জানাবেন বলে জানান তিনি। শহরের বুকে মেয়েদের স্কুলে এই ঘটনায় স্কুলের ছাত্রী ও অবিভাবকদের মধ্যে আ’তঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের নিরা’পত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে নেমেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশও। অভিভাবক ঝর্না মণ্ডল বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবক ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ছাত্রীটিকে। নিরাপত্তারক্ষী থেকেও লাভ হয়নি। ছাত্রীদের কোনও নিরা’পত্তা নেই স্কুলে।’ প্রায় হাজার ছাত্রী পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে পড়ে। পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক এটাই দাবি তাঁদের। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে তাই অভিভাবক পরিচয় দিয়ে স্কুলে ঢোকার অনুমতি আগামী দিনে আর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.