ব্রাহ্মনের মেয়ে আর মেথরের ছেলের ভালোবেসে বিয়ে, তারপরের ঘটনা শুনলে সত্যিই চোখ দিয়ে জল পড়বে


Odd বাংলা ডেস্ক: ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা,আর ওটাই তাদের কাল হয়েছিল দাঁড়িয়েছিল। এমনকি এর জন্য জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছিল। কারণ একজন ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছে আর একজন হরিজন সম্প্রদায়ের।আর আমাদের সমাজে আজও উঁচু নিচু জাতের এই ভাবনা আজ‌ও বিদ্যমান।বর্ন বৈষম্যের ভেদাভেদ আজ‌ও প্রচলিত রয়েছে। তাই তো ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় এর অন্তর্ভুক্ত এই মেয়েকে ভালবাসে বিয়ে করার অপরাধ এই মেয়েটির পরিবার থেকে অপহরণ এমনকি ধ’র্ষণ এর মতো মিথ্যা মামলার জালে জড়িয়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এর সাজা পেতে হয় মেয়েটির স্বামী , হরিজন সম্প্রদায়ের এই যুবককে। তবে কোনো অপরাধ ছাড়াই দীর্ঘ ৮ মাস জেল খাটার পর অবশেষে জামিন পেলেন তিনি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর স্ত্রীর দাবি ” আসলে আমরা যখন একে অপরকে ভালবাসে বিয়ে করি তখন আমার মা বাবার কাছে এটি অপরাধ বলে মনে হয়। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে আনা হয় আমার পরিবার এর তরফ থেকে ফলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়ে যায় আমার স্বামীর , তবে মহামান্য বিচারপতি সমস্ত ঘটনা বিচার করে বুঝতে পেরেছেন যে আমার স্বামীর কোনো অপরাধ করেননি,
আমাদের দু’জনের সম্মতিতেই এই বিয়ে হয়।তাই সব সাক্ষ্য গ্রহণ এর পর আমার স্বামীকে জামিন দেওয়া হয়।”গত কয়েকদিন ধরে হাইকোর্টে এর চক্কর কাটছিলেন নিজের ছোট্ট কোলের শিশুটিকে সঙ্গে করে। উদ্দেশ্য জেলে বন্দী স্বামীর জামিন নেওয়া।এ বিষয়ে ওই যুবক এর পিতার বক্তব্য ” ঘটনাটি সম্পর্কে আমার কিছুই বলার নাই , বর্ণ বৈষম্য নিয়ে এত ভোগান্তি ভুগতে হলো আমার পরিবার ,আমার ছেলে, আমার ছেলের বউ কে !আর যেন কোন পরিবারকে এই রকম দিন না দেখতে হয় এটাই আমার কামনা।

সমাজে আজও যে বর্ণবৈষম্য রয়েছে তা বিলুপ্ত হোক।সংশ্লিষ্ট যারা আছেন বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণের জন্য তাদের কাছে আমার দুইহাত জোড় করে অনুরোধ।” জাতি ,ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই আমরা এক আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ভারতীয়। তবে আজ‌ও এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা এই জাত – পাতের ওপর নির্ভর করে সমাজে নিয়ম তৈরী করেন যা সত্যিই মূল্যহীন ভেদাভেদ।
এমনকি উঁচু বংশের মেয়ে হয়ে নিঁচু জাতের ছেলের সাথে বিয়ে করার অপরাধ এ আদালত চত্বরে যখন‌ই আলাপ হতো সুস্মিতা দেবনাথ অদিতির তার পরিবারের সাথে , তখনই পরিবার বিশেষ করে নিজের মা বাবার তরফ থেকে ভেসে আসত অকথ্য গালিগালাজ। এমনকি ছোট্ট কোলের শিশুটির উদ্দেশ্যেও ছুড়ে দেওয়া হতো কটুক্তি‌। তবে আইন চলবে আইন এর কাছে।আইন এর কাছে সকল বর্নের মানুষ সমান তাঁর কাছে এই ভেদাভেদ এর কোনো স্থান নেই। তাই তো সত্যের জয় হল এবং জামিন পেলেন ওই হরিজন যুবক নাম তুষার দাস। ভালোবাসার জয় হলো। আর জামিন পাওয়ার পর যুবকের পরিবার এবং স্ত্রী সকলেই খুব খুশি।আর স্ত্রী সুস্মিতা দেবনাথ অদিতির বক্তব্য” আমার সন্তানের বাবাকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। তাকে আর বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না , এটা ভেবেই একটা অদ্ভুত শান্তি হচ্ছে। ধন্যবাদ মহামান্য আদালত”। আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.