চাইল্ড যুদ্ধ: ব্রিটিশ সরকার লজ্জায় মুছে ছিল যে ইতিহাস, আজও পাঠ্য বইয়ে জায়গা পায়নি


Odd বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে মোঘল শাসকদের হিন্দু বিরোধী বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ মোঘল শাসকদের জন্যই ইংরেজরা ভারত ছেড়ে প্রথমবার পালিয়েছিল। ভারতের যে ইতিহাস বর্তমানে স্কুল কলেজে পড়ানো হচ্ছে সেখানে এই যুদ্ধের কোনও হদিশ নেই।  মোঘল শাসকরা যে কারণে ইতিহাসে ঘৃণিত হয়েছেন তার কারণ এদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ যখন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে তখন থেকেই ইতিহাস কে বিকৃত করে পরিবেশন করে সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়ানো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের ঔরসজাত আধুনিক হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের মজ্জাগত হয়ে গেছে। তাই এখনও মোঘল মানেই মুসলমান বুঝি আমরা। কিন্তু তারা তো বীর ভারতীয়ও বটে।

ইন্টারনেটেও এই সম্পর্কে তথ্য পাওয়া মুশকিল


 স্বাধীন মুঘল ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে প্রথম বড়সর ধরনের পরাজয় স্বীকার করতে হয় ১৬৮৬-১৬৯০ অবধি চলা চাইল্ড যুদ্ধে। বোম্বাই ও মাদ্রাসে ব্রিটিশ ফৌজ ঘেরাবন্দী হয়। সিদ্দী ইয়াকুব এর নেতৃত্বাধীন নৌ বহর এবং তার সাথে হাবিশ ফৌজের আক্রমণে ব্রিটিশ ফৌজরা ধরাশয়ী হয়। সমঝোতা করতে যখন ব্রিটিশরা মুঘল সাম্রাজ্যের পায়ে পড়ে তখন মুঘল সম্রাটের দরবারে তাদের বিশাল অঙ্কের অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে হয় এবং মুঘল সম্রাটের সামনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের মাথানত করে গড় করতে হয়, যার ফলে তারা ছাড়া পায়। এর পরে হেনরি এভরি নামক জলদস্যু যখন হজযাত্রীদের জাহাজ আক্রমন করে তখন ঔরঙ্গজেব ব্রিটিশদের উপর আবার আক্রমণ নামিয়ে আনেন এবং ব্রিটিশদের সমস্ত কারখানা ও ব্যবসা বন্ধ করিয়ে দেন। এর ফলে ব্রিটিশরা সেই সময়ে ৬ লক্ষ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিয়ে শাস্তির হাত থেকে বাঁচে এবং পৃথিবীতে প্রথমবার বিশ্বজুড়ে একজন অপরাধী কে ধরতে অভিযান শুরু হয়। যদিও সেই সময় হেনরি এভরি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ঔরঙ্গজেবের এই যুদ্ধগুলি, ব্রিটিশদের পরাজয়, এবং মাটিতে নাক খত দেওয়ার কাহিনী আজও আমাদের ঔপনিবেশিক শিক্ষার ঔরসজাত আধা ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছাত্র - ছাত্রীদের জানতে দিতে চায় না। কারণ এই যুদ্ধগুলি ছিল স্বাধীন ভারতের দ্বারা তত্কালীন বিশ্বের সর্ব শক্তিমান রাষ্ট্রের বাহিনীকে পরাস্ত করার ঘটনা। যা হয়তো আমাদের দেশের যুব ছাত্ররা জানলে তাঁদের মধ্যে মুঘল সাম্রাজ্য নিয়ে গর্ব বোধ হবে এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি হবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.