করোনা ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে ভবঘুরেদের হত্যা করছে চীন সরকার


Odd বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি বিবিসির মাধ্যমে ২৯ বছর বয়স্ক গুও জিং তার ডায়েরি প্রকাশ করেছে। সে উহানেই বসবাস করছে। কিন্তু এখন সে বেঁচে আছে কিনা কেউ জানে না। সে নিজেই তাঁর ডায়েরিতে এমন একটি তথ্য উল্লেখ করেছে যা চমকে দেওয়ার মতো।  তার সেই ডায়েরির একটি পাতা হুবহু তুলে দেওয়া হল। 




৫ই ফেব্রুয়ারি, বুধবার 


 আতঙ্কগ্রস্ত হলে মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। সবার জন্য বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটা ভালো একটা উদ্যোগ, কিন্তু কখনো কখনো এমন নিয়ম ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। বেশ কয়েকজনকে মাস্ক না পরার কারণে গণপরিবহন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি জানি না কেন তারা মাস্ক পরেনি! হয়তো তারা সামর্থ্যবান নয়, কিংবা তারা ভাইরাসটি নিয়ে কোনো ঘোষণা শুনতে পায়নি। অনলাইন ভিডিওতে দেখেছি, যাযাবর গোছের লোকদের তাদের ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ঘরগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল। তাদের আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। তাহলে কি তাদের হত্যা করল আমাদের দেশের সরকার? কারও উচিত ছিল প্রতিবাদ করা। তবে কিছু পরিবার ভবঘুরে কয়েকজন মানুষকে থাকার জায়গা করে দিয়েছেন। সরকার চাইলেই প্রতিটি ঘরে মাস্কের যোগান দিতে পারত। এমনকি নাগরিকদের ঘরে অবস্থানের জন্য পুরস্কৃতও করা যায়।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.