মরদেহ দাহ করার ৩০ দিন পর, বাড়ি ফিরে এলেন 'মৃত' ব্যক্তি


Odd বাংলা ডেস্ক: এমন ঘটনা কেবল ভূতুড়ে সিরিয়ালেই হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে এমন এক অদ্ভূতুড়ে ঘটনার সাক্ষী থাকল নৈহাটি সাহেব কলোনি পূর্ণানন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দারা। এক মাস আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ইঞ্জিনিয়ার ৭০ বছরের ভূষণ পালের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। এরপর তাঁদের হাতে মরদেহ তুলে দেয় নৈহাটি থানার পুলিশ। এরপর নিয়ম মেনেই নৈহাটি রামঘাট শ্মশানে দাহ করা হয় তার মরদেহ। 

অন্তেষ্টি ক্রিয়ার পর নিয়ম মেনে ঘটা করে পারলৌকিক ক্রিয়া, শ্রাদ্ধশান্তি- সবই করা হয়। দাহকার্য কেটে যাওয়ার পর কেটে গিয়েছে ৩০ দিন। এমন সময় ভাইয়ের বাড়িতে সশরীরে হাজির হলেন ‘‌মৃত’‌ ভূষণ পাল! প্রথমে তাঁকে দেখে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা হয় বাড়ির লোকেদের। প্রথমে চোখের ভুল বলে মনে হলেও যখন গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে সকলে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। 

মেদিনীপুরের বাসিন্দা ভূষণবাবু থাকেন নৈহাটিতে ভাইয়ের বাড়িতে। ১০ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ হলে বাড়ির লোকজন নৈহাটি থানায় ডায়েরি করেন। ১৬ জানুয়ারি পুলিশ থেকে জানানো হয়, একটি দেহ পাওয়া গিয়েছে। দেহটি ভূষণ পালের বলেই শনাক্ত করেন তাঁর বাড়ির লোকজন। মানসিক ভারসাম্যহীন ভূষণবাবু সেদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেনে চড়ে সোজা দিল্লি চলে গিয়েছিলেন। তারপর বাড়ির কথা মনে পড়ায় ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে ভূষণবাবু ভেবে কার দেহ পোড়ানো হল, সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.