ছেলের হবু বউকে বিয়ে করল ৬৫ বছরের বাবা


Odd বাংলা ডেস্ক: ছেলের হবু বউকে বিয়ে করলেন ৬৫ বছরের বাবা। শুনে কি মনে হচ্ছে ? বুড়ো বয়সে এসে ভীমরতি ধরেছে ? পৃথিবীতে আপনি এমন অনেক গল্প শুনতে পাবেন যা শুনে আপনার মনে হতে পারে যে আপনি ভুল শুনেছেন। কিন্তু যদি খেয়াল করে দেখেন তাহলে বুঝবেন যে এসবের মধ্যে কোন কিছুই ভুল শোনেননি বরং ঠিক শুনেছেন। আপনার হয়তো মনে হতে পারে যে আপনি কানে ভুল শুনছেন এবং চোখেও হয়তো ভুল দেখছেন, কিন্তু আসল ব্যাপার সম্পূর্ণ আলাদা। আসুন এইরকমই এক ঘটনার কথা শোনা যাক যা আপনাকে আশ্চর্য করে দেবে আর মনে করাতে বাধ্য করবে আপনি কোন শতকে বসবাস করছেন। এই শতাব্দীতেও এসব ঘটতে পারে বলে বিশ্বাস আপনি করতে পারবেন না একদমই। ঘটনা বিহারের সমস্তিপুরের। সেখানকার এক বৃদ্ধ পিতা রোশনলাল তার নিজের ছেলের বিয়ে ঠিক করেছিলেন ওখানকার এক মেয়ের সাথে। 

সব চলছিল ঠিকঠাক। পাত্র পাত্রী দুজনেই রাজী ছিল বিয়েতে। কিন্তু ভাগ্য বোধহয় সবকিছুর অলক্ষ্যে হাসছিল। এই খবর ছিল না পিতা রোশনলালের কাছেও। তার কাছে শুধু খবর ছিল যে ছেলে বিয়ে করতে রাজি। সব কিছুর শেষে সে এই মেয়েকে বিয়ে করে সুখে দিন কাটাবে। পাত্রীর নাম ছিল স্বপ্না। রোশনলাল জানতেন না স্বপ্না ছাড়া তার ছেলের আরেকজন মনের মানুষ আছে। বিয়ের দিন এগিয়ে আসতে আসতে জানা যায় যে ছেলের অন্যকে পছন্দ। শুধু তাই নয়, ছেলে সেই মেয়েকে বিয়েও করে নিয়েছে এবং নিয়ে আসছে বাড়িতে। সমাজ ও প্রতিবেশীদের নিন্দার শিকার হতে হয় বৃদ্ধ রোশনলালকে। বিয়ের আসরেই ছেলে নিয়ে হাজির হয় নতুন বউকে। লজ্জায় মাথা কাটা যায় রোশনলালের। হবু পুত্রবধুর তো কোন দোষ নেই। দোষ তো তার নিজের ছেলের। তাই কন্যাকে লগ্নভ্রস্টা হওয়ার থেকে বাচানোর জন্য বিয়ে করে নিতে বাধ্য হন রোশনলাল। আমি জানি আপনাদের মধ্যে অনেকেই এখন ভাবছেন যে বুড়োর সখ ছিল খুব তাই বুড়ো বিয়ে করেছে। কিন্তু আসল ঘটনার সময় উপস্থিত থাকলে হয়তো বুড়োটার চেয়ে তার ছেলের প্রতিই আপনাদের বেশী রাগ হত। এক্ষেত্রে অনেকে ঐ বৃদ্ধের এই পদক্ষেপকে অসম্মানজনক বা হাস্যকর মনে করলেও আমাদের এটা ভাবতে হবে যে ঐ সময় বৃদ্ধের কাছে মেয়েটির সম্মান বাঁচাবার আর কোন উপায় ছিল না। একজন মেয়ের সম্মান বাঁচাতে তিনি তাকে বিয়ে করেছেন। তাই এই পদক্ষেপ যথেষ্ট সাহসের দাবী রাখে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.