এই বিশেষ তিথিতে ভারতের এই মন্দিরে মন্ত্র উচ্চারণ করে পুজো করা হয় কুমিরকে


Odd বাংলা ডেস্ক: এই পৃথিবীতে অনেক ঘটনাই রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে শুনলে বিশ্বাস হয় না। কিন্তু তার প্রমাণ যখন হাতে-নাতে পাওয়া যায় তখন না বিশ্বাস করে আর উপায় থাকে না। তেমনই বছরের পর বছর ধরে এক অদ্ভুত নিয়ম পালন করা হয়ে আসছে গোয়ায়। প্রতি বছর পৌষ অমাবস্যা তিথিতে ‘মানজেম থাপনি’ উৎসব পালন করেন গোয়া একদল হিন্দু ও কৃষক পরিবার। 

তাঁদের কথা জানতে আপনাদের পৌঁছে যেতে হবে পানাজি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বোরিমের জুয়ারি নদী ও কুম্ভারজুয়া খালের পাড়ে, যেখানে বসবাস করেন আদুলশেম গ্রামের বাসিন্দারা। এখানকার বাসিন্দারা কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। আর তাঁদের কাছেই পৌষ মাসের অমাবস্যা তিথিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই তিথিতেই তাঁরা আয়োজন করেন কুমিরের পুজোর। জানা যায়,  ৫০০ বছর আগে আদিল শাহ প্রথম কুমির ছেড়েছিলেন কুম্ভারজুয়া খালে। জলদস্যুদের হাত থেকে তৎকালীন গোয়ার রাজধানী পানাজিকে বাঁচানোর জন্য এই উপায় প্রচলিত হয়ে আসছে।

প্রসঙ্গত, ‘মানজেম’ শব্দের অর্থ কুমির ও ‘থাপনি’ শব্দটি ওই মাটি তাল দিয়ে কিছু তৈরি করা বোঝায় বোঝায়। জ্যান্ত কুমির পুজো করা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই মাটির তাল দিয়ে কুমির তৈরি করেন গ্রামবাসীরা। তারপর তাকেই পুজো করা হয়। রীতিমতো নিয়ম মেনে মন্ত্র উচ্চারণ করে অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। আদুলশেমের বাসিন্দারা ভাল ফসল ও ভাল মাছ উৎপাদনের জন্যই এই পুজো করে থাকেন। কুমির  প্রসাদ হিসেবে সকলকে বিতরণ করা হয় ‘চিরমুলেও’, অর্থাৎ ভাত ও গুড়। দেবতাকে উৎসর্গ করা হয় মুরগি অথবা ডিম।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.