টেডি বেয়ারের জন্মের ইতিহাস খুব গর্বের নয়
Odd বাংলা ডেস্ক: আজ ভ্যালেন্টাইনস উইকের চতুর্থ দিন। এই দিনটিকে বিশ্ববাসী টেডি ডে নামে উদযাপন করে। কিন্তু এই উদযাপন শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য নয়। কারণ টেডি বেয়ারের প্রতি ভালবাসা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ছোটরাও এই পুতুলটি পেলে খুব খুশি হয়। কিন্তু এর পেছনে আছে একটা অন্ধকার ইতিহাস। ১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট। মিসিসিপি ও লুসিয়ানিয়ার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তখন জর্জরিত তিনি। অনেকক্ষণ খুঁজেও সে দিন ভাল শিকার পাননি রুজভেল্ট। এ দিকে নিশপিশ করছে রাইফেলেন ডগা।
প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে তাঁর সঙ্গীসাথীরা ধরে আনেন এক লুসিয়ানিয়া কালো ভল্লুক ছানা। কিন্তু গাছের গুঁড়িতে বেঁধে রাখা ভল্লুক ছানার উপর গুলি চালাতে মন চায়নি রুজভেল্টের। ছোট্ট ছানাটিকে ছেড়ে দেন তিনি।
‘ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুনে এই গল্প তুলে ধরেন ওয়াশিংটন স্টার কার্টুনিস্ট ক্লিফর্ড বেরিম্যান। ছবিতে তিনি আঁকেন টেডি রুজভেল্ট রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর পিছনে পুঁচকে এক ভল্লুক ছানা।
এই কার্টুন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ব্রুকলিনের খেলনার দোকানের মালিক মরিস মিচম। তিনি বানিয়ে ফেলেন মিষ্টি এক টেডি বেয়ার। তবে তা বিক্রি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। দোকানের জানলার পাশে সাজিয়ে রাখেন টেডি। পাশে বেরিম্যানের আঁকা কার্টুনের কপি।
তাঁকে অবাক করে খদ্দেররা দোকানে ঢুকেই কিনতে চান টেডি। মিচম ছুটে যান রুজভেল্টের কাছে। তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর বানানো বেয়ার বিক্রির অনুমতি চান। জন্ম হয় টেডি বেয়ারের। ১৯০৩ সালে তৈরি হয় আইডিয়াল টয় কোম্পানি।
Post a Comment