শরীরে র্যাশ হওয়া থেকে পরিত্রাণের উপায়
Odd বাংলা ডেস্ক: শরীরে বিশেষ করে মেয়েদের বুকে র্যাশ, সেখান থেকে ব্যথা কিংবা চুলকানি আর অসস্থি, আপনি কখনো কি এরকম সমস্যা ফেইস করেছেন? বুকে র্যাশ হওয়া মেয়েদের একটা কমন সমস্যা। এটি আপনার জন্য বেশ বিব্রতকর কারণ কারো সাথে আপনি হয়তো হুট করে প্রবলেমটি শেয়ার করতে পারছেন না আবার সহ্যও করতে পারছেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অপরিষ্কার আন্ডার গার্মেন্টসের ব্যবহার, অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন, অতিরিক্ত ঘাম, ফাংগাল ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ইনফেকশনের জন্য বুকে র্যাশ হয়। আবার বয়সন্ধিকালে হরমোনের প্রভাবেও এটি হতে পারে। সুখবর হচ্ছে, প্রাকৃতিক কিছু জিনিস ব্যবহার করে বুকে র্যাশ হওয়া থেকে আপনি পরিত্রান পেতে পারেন বা র্যাশের থেকে যে রেডনেস এবং চুলকানি হয় সেটাও কমিয়ে ফেলতে পারেন। চলুন জেনে নেই বুকের র্যাশ কমানোর ন্যাচারাল কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে।
বুকে র্যাশ কমানোর উপায়
১. তুলসি পাতার পেস্ট
তুলসি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। জীবাণুনাশক প্রোপারটিজ থাকার কারণে তুলসি পাতা যে কোনো ধরনের যন্ত্রণা কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। গোসলের আগে তুলসি পাতার পেস্ট সরাসরি র্যাশে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. অ্যালোভেরা ও টি-ট্রি অয়েল
অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল আর স্মুদিং প্রোপার্টিজ থাকায় এটি ময়েশ্চার ব্যালেন্স ঠিক রাখার পাশাপাশি র্যাশ থেকে হওয়া ইনফ্লামেশন কমিয়ে দেয়। টি-ট্রি ওয়েলে অ্যান্টিসেপটিক কন্টেন্ট আছে। বুকের র্যাশ কমানোর জন্য অ্যালোভেরা ও টি-ট্রি অয়েলের কম্বিনেশন চমৎকার কাজ করে। ১০-১৫ মিনিট রেখে মুছে নিতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত দুইবার করে অ্যাপ্লাই করলে দ্রুত রেসাল্ট পাবেন।
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ব্রণ, র্যাশ শুকাতে সাহায্য করে এবং মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের সুরক্ষা করে। ১ টেবিল চামচ মধু নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তুলার সাহায্যে অথবা আঙুল দিয়ে এটা লাগিয়ে ২০মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দুইবার করে অ্যাপ্লাই করুন।
৪. রসুন
রসুনে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি উপাদান। যার ফলে র্যাশ কমাতে অনেকের স্কিনে এটা কাজ করে। কিন্তু হাইপার-সেন্সিটিভ স্কিনে রসুন অ্যাভয়েড করবেন কারণ এতে থাকে আলিসিন যা সেনসিটিভ ত্বকে সরাসরি লাগালে সাইড-ইফেক্ট হতে পারে। দুই/ তিন কোয়া রসুন নিয়ে একটু থেঁতলে রসটা লাগিয়ে নিতে পারেন, ৩০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন।
৫. ওটমিল ও টক দই
ওটমিলের ব্যবহার ত্বককে স্মুথ আর ক্লিন রাখে। টকদই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ১টেবিল চামচ ওটমিল ও ২টেবিল চামচ টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাবেন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে অ্যাপ্লাই করলে আপনি নিজেই পার্থক্যটা দেখতে পারবেন।
এই হল ন্যাচারাল ইনগ্রিডিয়েন্স দিয়ে বুকে র্যাশ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। আগে থেকে আমরা যদি কিছু সতর্কতা মেনে চলি, তাহলে এই প্রব্লেমটা আর ফিরে আসবে না। চলুন জেনে নেই কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করে আগে থেকে সতর্ক হবেন।
১. সবসময় অন্তর্বাস পরে থাকবেন না, অন্তত ঘুমের সময় ঢিলা করে রাখবেন বা খুলে রাখবেন।
২. অবশ্যই পরিষ্কার আন্ডার গার্মেন্টস ইউজ করবেন, সঠিক মাপের এবং আরামদায়ক ম্যাটেরিয়াল যেন হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৩. গোসলের সময় রেগ্যুলার সাবান বা শাওয়ার জেল দিয়ে শরীর ভালোভাবে ক্লিন করে নিবেন। যদি অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে তাহলে অন্তর্বাস পরার আগে বেবি পাউডার লাগিয়ে নিতে পারেন।
৪. অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে কোনো প্রোডাক্ট বা খাবার থেকে এটা হচ্ছে কিনা সেটা লক্ষ্য করবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলবেন।
এগুলো মেনে চলার পরেও যদি এই সমস্যা থেকে যায় তবে লজ্জা বা ভয় না রেখে ডাক্তারের কাছে অবশ্যই যাবেন। কারণ হতে পারে এটা হরমোনাল কোনো কারণে হচ্ছে।
বুকে র্যাশ কমানোর উপায়
১. তুলসি পাতার পেস্ট
তুলসি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। জীবাণুনাশক প্রোপারটিজ থাকার কারণে তুলসি পাতা যে কোনো ধরনের যন্ত্রণা কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। গোসলের আগে তুলসি পাতার পেস্ট সরাসরি র্যাশে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. অ্যালোভেরা ও টি-ট্রি অয়েল
অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল আর স্মুদিং প্রোপার্টিজ থাকায় এটি ময়েশ্চার ব্যালেন্স ঠিক রাখার পাশাপাশি র্যাশ থেকে হওয়া ইনফ্লামেশন কমিয়ে দেয়। টি-ট্রি ওয়েলে অ্যান্টিসেপটিক কন্টেন্ট আছে। বুকের র্যাশ কমানোর জন্য অ্যালোভেরা ও টি-ট্রি অয়েলের কম্বিনেশন চমৎকার কাজ করে। ১০-১৫ মিনিট রেখে মুছে নিতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত দুইবার করে অ্যাপ্লাই করলে দ্রুত রেসাল্ট পাবেন।
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ব্রণ, র্যাশ শুকাতে সাহায্য করে এবং মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের সুরক্ষা করে। ১ টেবিল চামচ মধু নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তুলার সাহায্যে অথবা আঙুল দিয়ে এটা লাগিয়ে ২০মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দুইবার করে অ্যাপ্লাই করুন।
৪. রসুন
রসুনে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি উপাদান। যার ফলে র্যাশ কমাতে অনেকের স্কিনে এটা কাজ করে। কিন্তু হাইপার-সেন্সিটিভ স্কিনে রসুন অ্যাভয়েড করবেন কারণ এতে থাকে আলিসিন যা সেনসিটিভ ত্বকে সরাসরি লাগালে সাইড-ইফেক্ট হতে পারে। দুই/ তিন কোয়া রসুন নিয়ে একটু থেঁতলে রসটা লাগিয়ে নিতে পারেন, ৩০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন।
৫. ওটমিল ও টক দই
ওটমিলের ব্যবহার ত্বককে স্মুথ আর ক্লিন রাখে। টকদই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ১টেবিল চামচ ওটমিল ও ২টেবিল চামচ টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাবেন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে অ্যাপ্লাই করলে আপনি নিজেই পার্থক্যটা দেখতে পারবেন।
এই হল ন্যাচারাল ইনগ্রিডিয়েন্স দিয়ে বুকে র্যাশ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। আগে থেকে আমরা যদি কিছু সতর্কতা মেনে চলি, তাহলে এই প্রব্লেমটা আর ফিরে আসবে না। চলুন জেনে নেই কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করে আগে থেকে সতর্ক হবেন।
১. সবসময় অন্তর্বাস পরে থাকবেন না, অন্তত ঘুমের সময় ঢিলা করে রাখবেন বা খুলে রাখবেন।
২. অবশ্যই পরিষ্কার আন্ডার গার্মেন্টস ইউজ করবেন, সঠিক মাপের এবং আরামদায়ক ম্যাটেরিয়াল যেন হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৩. গোসলের সময় রেগ্যুলার সাবান বা শাওয়ার জেল দিয়ে শরীর ভালোভাবে ক্লিন করে নিবেন। যদি অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে তাহলে অন্তর্বাস পরার আগে বেবি পাউডার লাগিয়ে নিতে পারেন।
৪. অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে কোনো প্রোডাক্ট বা খাবার থেকে এটা হচ্ছে কিনা সেটা লক্ষ্য করবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলবেন।
এগুলো মেনে চলার পরেও যদি এই সমস্যা থেকে যায় তবে লজ্জা বা ভয় না রেখে ডাক্তারের কাছে অবশ্যই যাবেন। কারণ হতে পারে এটা হরমোনাল কোনো কারণে হচ্ছে।
Post a Comment