সামান্য ভুলের কারণে ব্যাথা থেকে মেয়েদের হয় স্তন ক্যান্সার


Odd বাংলা ডেস্ক: ক্যান্সারকে আমরা মারণ রোগ হিসেবেই জানি। তাই বর্তমানে সবাই কম বেশি এই রোগ নিয়ে চিন্তিত। তবে অনেক মহিলারাই নিজের গোপন অঙ্গের শারীরিক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভয় ও লজ্জা পান। এই নিয়ে বিশেষভাবে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। স্তন ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তবে পুরুষদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকের ধারণা সঠিক অন্তর্বাস না পরলে এই রোগ হতে পারে। এই কথাটা ঠিক যে দেহের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সঠিক বয়স থেকে সঠিক সাইজের অন্তর্বাস পরা জরুরী। তা না হলে বুকে ব্যাথা হতে পারে। কিন্তু এটা ক্যান্সারের কারণ নয়।
বয়স এবং জিনের সমস্যা এই রোগের কারণ হতে পারে। জীবন ধারণের নিয়ম কানুন অনেক সময় এই রোগের কারণ হয়। মাঝবয়সী মহিলাদের মধ্যে বেড়ে যায় এই রোগের প্রবণতা। ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে এই রোগ বেশি শনাক্ত করা গেছে।
প্রতি তিনবছর পর পর ব্রেস্ট স্ক্রিনিং বা ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। ম্যামোগ্রাম কি এই নিয়ে বেশির ভাগ মানুষই জানেন না। এক্স-রে’র মাধ্যমে নারীদের স্তনের অবস্থা পরীক্ষা করাকে ম্যামোগ্রাম বলে। ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়।
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরলে ক্যান্সার থেকে সুস্থ্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রচুর থাকে। স্তনে শিথিলতা বা কাঠিন্য, লাম্প, অস্বাভাবিক র‍্যাশ, নিপিলে অসুবিধা ইত্যাদি দেখলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। সে-ক্স নিয়ে মনে হাজার উন্মাদনার শেষ না থাকলেও অধিকাংশ মানুষের ঘাটতি রয়েছে গোড়াতেই।


এমনকি মহিলারাও তাদের শরীর সম্পর্কে অবগত নন। শরীরের খুঁটিনাটি জায়গা গুলিকে কি বলে তাদের কাজই বা কি সে সম্পর্কে জানেন না অনেকেই। এই কারণে বিশেষ করে গ্রামের দিকে মহিলাদের শরীরে ডানা বাধে অসুখ। যা পরে মারণ রোগেও পরিণত হয়।
মহিলারা তাদের অসুবিধার কথা খুলে বলতে সঙ্কোচ করে ডাক্তারের কাছে, এমন কি নিজের ঘরের লোকের কাছেও। পুরুষরা নিজেদের অজ্ঞানতার কারণে মহিলাদের নিয়ে যেতে চায় না ডাক্তারের কাছে। তারা সমস্যার গুরুত্ত্ব বুঝতে পারে না সময় থাকতে। নারীস্বাস্থ্যের ব্যাপারে বেশিরভাগ পুরুষই কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন।
দেখা গেছে ২১ শতাংশ মানুষ এই নিয়ে কথাই বলতে চান না। নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ এটি। নারী মন ও চরিত্র বোঝা বড় দায় বলে সমাজের এক শ্রেণী সে বিষয়ে মাথা ঘামায় না বটে, কিন্তু নারী শরীর নিয়ে মানুষের উৎসাহের শেষ নেই সেই সৃষ্টির আদি কাল থেকে।
ক্যান্সারের লক্ষণ চিহ্নিত করতে পারলে সঙ্গিনীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারেন তারা। সঠিক সময়ে রোগ ধরা পরলে বাঁচতে পারে একটি জীবন। প্রতি বছর সাত হাজারের মতো নারী মারা যায় এসব ক্যান্সারে। তাই জনসচেতনতা বাড়ান সমাজের স্বার্থে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.