ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আজই সচেতন হোন, মেনে চলুন এই নিয়মগুলি


Odd বাংলা ডেস্ক: সুস্বাস্থ্যের প্রথম পদক্ষেপই হওয়া উচিত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চললে শরীরে রোগেকর প্রাদুর্ভাব কমে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকখানি বেড়ে যায়। জেনে নিন কীভাবে মেনে চলবেন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি-

১) বাড়িতে সকলের হাত মুখ মোছার তোয়ালে যেন আলাদা হয়, সেক্ষেত্রে সদ্যজাত শিশু হলে তো এই বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখা উচিত।

২) হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে নিত্য সঙ্গী করে ফেলুন। খাবার আগে এবং খাবার খেয়ে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার পড়েও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা দরকার। 

৩) শীতকালে আমাদের সকলেরই স্নান না করার একটা প্রবণতা থাকে, অনেকে তো আবার একটি জামা ও অন্তর্বাস সারা সপ্তাহে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরেন, আর এর ফলেই কিন্তু যে আপনার অজান্তেই শরীরে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধছে। তাই শীতের দিন হলেও নিয়মিত স্নান করা এবং পরিষ্কার জলে অন্তর্বাস ধোয়া উচিত।

৪) নিয়মিত নখ এবং চুল কাটা দরকার। নখ বেশি বড় হলে তার নিয়মিত পরিচর্যা করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার ক্ষারমুক্ত সাবান দিয়ে বা শ্যম্পু দিয়ে বাড়ীতেই করে নিন ম্যানিকিওর। আর মাসে অন্তত একবার চুল ট্রিম করানোর চেষ্টা করুন।

৫) মেক-আপ যারা করেন তাঁরা প্রত্যেকবার মেক-আপের পরে মেক-আপ ব্রাশগুলি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে তা শুকনো কাপড়ে মুছে নিয়ে রাখুন। মেক-আপ ব্রাশ ভিজে অবস্থায় রেখে দিলে ব্রাশের ব্রিসলও নষ্ট হয়ে যায়। তাই মেক-আপ ব্রাশ, পাফ নিয়ম করে পরিষ্কার করা দরকার।

৬) মুখের দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করা ভীষণ জরুরী। দুর্গন্ধ-যুক্ত নিঃশ্বাস প্রশ্বাস কিন্তু মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকে হয়ে থাকে। এর জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিত, দিনে দু'বার খাওয়ার পরে ভাল করে দাঁত মাজা দরকার। নিয়মিত দই খেলে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা এড়ানো যায়। পারলে কাজের ফাঁকে কফি এড়িয়ে চলুন।

৭) কাজের জায়গায় অফিসে ডেস্কটাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। অপ্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র, ফাইল প্রভৃতি গুছিয়ে রাখলে সেখানে মাকড়শা বা অন্যান্য পোকা-মাকড় আর বাসা বাঁধতে পারে না।

৮) সারাদিন কাজের পর প্রয়োজন হয় হল ঘুমের। তাই নিয়মিত স্নান, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া, সঠিক পরিশ্রমই পারে রাতে শান্তির ঘুম এনে দিতে। 

৯) খাবার তৈরি করার পর অনেকেই তা খোলা রেখে দেন। জীবাণু কিন্তু আঢাকা খাবার থেকেই সৃষ্টি হয়, এবং তা থেকেই ছড়ায় নানারকম রোগ। তাই খাবার তৈরি করে তা অবশ্যই রেফ্রিজারেটরে রাখা উচিত, সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা হতে হবে ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট বা ৪১ ডিগ্রী ফারেনহাইট।

১০) মাংস এবং সবজি কাটার ছুরি আলাদা রাখুন, আর প্রত্যেকবার ছুরি ব্যবহার করার আগে তা ভাল করে ধুয়ে নিন। রান্নাঘরের সিঙ্ক যথাসম্ভব আবর্জনা-মুক্ত রাখুন। রান্না করার সময় খাবার ঠিকমতো সেদ্ধ হয়েছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.