সঠিক রুদ্রাক্ষ ধারণ না করলে জীবন শেষ হয়ে যাবে


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রত্যেক মানুষই চায় সুখে থাকতে। প্রত্যেকেই চায় কোনো বাধা বিপত্তি যেন তাকে স্পর্শ না করতে পারে। এই বাধা বিঘ্ন কাটাতে অনেকেই জ্যোতিষ মেনে চলেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের স্টোন ধারন করেন। পুরো ব্যাপারটাই বিশ্বাসের উপরে। এমনকি এই বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই রুদ্রাক্ষের মালা ধারন করে থাকেন। তবে রুদ্রাক্ষ অবশ্যই জ্যোতিষের পরামর্শ নিয়ে ধারন করা উচিত। রুদ্রাক্ষ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসছে, যার অর্থ হল রুদ্রের চোখ বা শিবের চোখ। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই মালা ধারন করার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও বাউল ও বৌদ্ধ সম্প্রদায় মানুষের মধ্যে এই রুদ্রাক্ষ মালা প্রচলিত রয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে অবধি রুদ্রাক্ষ সহজলভ্য ছিল, কিন্তু বর্তমানে গাছ গাছালি কেটে ফেলাতে এই রুদ্রাক্ষ দুর্লভ হয়ে পড়েছে। তবে এখনও ইন্দোনেশিয়ার জাভা, সুমাত্রা এবং নেপালে অনেক পরিমানে রুদ্রাক্ষের গাছ পাওয়া যায়। হিমালয়ের কোলে রুদ্রাক্ষ গাছ দেখা গেলেও অনেক রুদ্রাক্ষ গাছ কেটে ফেলায় ভারতে এই গাছের সংখ্যা অনেক কমে এসছে। হিমালয়ের রুদ্রাক্ষের গুনগত মান ভালো হয়।

 রুদ্রাক্ষ ১ থেকে ২১ মুখী পর্যন্ত হয়। এই কারনে কোন রুদ্রাক্ষ ধারন করা উচিত তা জ্যোতিষ মতে জেনে নেওয়া দরকার, কারন প্রত্যেক রুদ্রাক্ষের আলাদা আলাদা ক্ষমতা রয়েছে। একমুখী রুদ্রাক্ষ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়। এই রুদ্রাক্ষকে দেবাদিদেব মহাদেব রুপে পুজো করা হয়। তবে এই একমুখী রুদ্রাক্ষ অতি দুর্লভ। আবার পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ সহজলভ্য। এই রুদ্রাক্ষ সকলেই ধারন করতে পারেন। তবে সব ক্ষেত্রে জ্যোতিষ পরামর্শ মেনে ধারন করা উচিত। পুরানের মুনি ঋষিরা প্রায় সকলেই রুদ্রাক্ষ ধারন করতেন। বর্তমানেও অনেকেই এই রুদ্রাক্ষ ধারন করেন, কারন এর অনেক গুনাবলীর জন্য। রুদ্রাক্ষ ধারনের পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। হার্টবিট ও রক্ত চলাচলের ফলে এক চৌম্বক শক্তির সৃষ্টি হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রুদ্রাক্ষে ডাইমাগ্মেটিজমের বৈশিষ্ঠ আছে যা চৌম্বক শক্তিকে বিলম্বিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন শুভ, অশুভ শক্তি থেকে বিপদমুক্ত করে এই রুদ্রাক্ষ। এছাড়াও রুদ্রাক্ষে চৌম্বকীয় শক্তি রয়েছে যা ইমপালস তৈরি করে, যার জন্য আমাদের শরীরে বেশ কিছু ক্যামিক্যাল তৈরি হয় যা শারীরিক সমস্যা নিজে থেকে সারাতে সাহায্য করে। এই কারনে মুনি ঋষিরা রুদ্রাক্ষ ধারন করতেন। রদ্রাক্ষ শুদ্ধ ও বিষাক্ত জলের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে। জলের মধ্যে রুদ্রাক্ষ দিলে যদি জল দক্ষিনে ঘোরে তাহলে তা শুদ্ধ, আর যদি বাম দিকে ঘোরে তাহলে তা বিষাক্ত।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.