অন্য পুরুষকে নিয়ে স্ত্রী যায় বিছানায়, স্বামী দাঁড়িয়ে দেখে
Odd বাংলা ডেস্ক: ভাবুন তো একবার, নিজের বউকে দিয়ে যৌন ব্যবসার কথা কেউ ভাবতে পারে? তারাই ভাবতে পারে, যারা একেবারেই হীন চরিত্রের অধিকারী। অথচ ভারতের দিল্লীতে বসবাসকারী একটি সমাজে এটি এখন রীতিতে দাঁড়িয়ে গেছে। বিয়ের আগে থেকেই এখানকার নারীরা জানেন, তাদের কার্যত যৌনকর্মী হিসেবেই বেঁচে থাকতে হবে। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই গৃহবধূদের ওপর চলছে স্বামী কর্তৃক এই নির্যাতন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নাজাফগড়ের ধরমপুর এলাকায় ওই জনগোষ্ঠীর বাস। সম্প্রতি সেখানে এক কিশোরীর মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়। মেয়েটি এ বয়সে বিয়ে করতে চায়নি। কিন্তু বাধ্য হয় সে বিয়ে করতে। বিয়ের পরদিন থেকেই তাকে যৌন ব্যবসায় লিপ্ত করে স্বামী। প্রতি রাতে এ কাজের বিনিময়ে প্রাপ্ত রুপি সে স্বামীর হাতে তুলে দেয়। না দিলেই নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। পরিবারের অন্যরাও তার পক্ষে এগিয়ে আসে না।
ওই নারী আরও জানায়, এক পর্যায়ে মা হওয়ার পরেও তার রেহাই মেলেনি। সারা রাত দেহব্যবসা করে যখন সে বাড়ি ফেরে তখন বাড়ির সবাই থাকে রাতের ঘুমে। শুধু ঘুম নেই তার। এ অবস্থা গ্রামের অধিকাংশ গৃহবধূর। তারা বাড়ি ফিরে গোসল করে সংসারের কাজে নেমে পড়ে। স্বামী ও শিশুদের ঘুম থেকে তুলে নাস্তা তৈরি করে খাইয়ে তারপর তারা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়। এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর। তবে এসব কর্মকাণ্ডে কোনো রাখঢাক রাখে না তারা। কারণ এটাই যে তাদের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম পথ।
Post a Comment