মোদীর আগেও ডিমনিটাইজেশন আরেকজন করেছিলেন, তিনি মহম্মদ বিন তুঘলক


Odd বাংলা ডেস্ক: ডিমনিটাইজেশন শুনলেই এখন মানুষের আতঙ্ক হয়। বিমুদ্রাকরন যেন একটা দুর্ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই ভাবে এই বুঝি আবার ব্যাঙ্কে লাইন দিতে হবে। কিন্তু জানেন কি মোদীর আগেই ভারতে একবার বিমুদ্রাকরন হয়েছিল। রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রৌপ্য মুদ্রা ও চালু করে দেওয়া হয়েছিল তামার মুদ্রা। এবং সেটাও হয় রাতারাতি।

১৩২৯-৩০ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ বিন তুঘলক তার বাজার অর্থনীতিতে রৌপ্য মুদ্রার পরিবর্তে এক প্রতীকী মুদ্রা বা তামার নোট চালু করেন| ঐতিহাসিক ফিরিস্তা জানিয়েছেন, "যেহেতু সুলতানি রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়েছিল, সেহেতু রাজ্য জয়ের জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন ছিল, এই জন্যই তিনি তাম্র মুদ্রা চালু করেন"| যুদ্ধ-বিগ্রহ, দোয়াব অঞ্চলের কর বৃদ্ধি, রাজধানী স্থানান্তরিত হলে সুলতান চরম আর্থিক সংকটে পড়েন|এই সময় তিনি একটি মারাত্মক ভুল পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, সেটি হলো চীন দেশের অনুকরণে তাম্র মুদ্রা প্রচলন|


আধুনিককালে ঐতিহাসিকরা মনে করেন, চতুর্দশ শতাব্দীতে যেহেতু রৌপ্য মুদ্রার জোগান কম ছিল, সেহেতু তিনি তাম্র মুদ্রা ব্যবহার করেছিলেন| কিন্তু সরকার এই মুদ্রা ব্যবস্থার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি না রাখার ফলে এই মুদ্রা ক্রমাগত জাল হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে সমস্ত বাজার জাল নোটে ভরে যায় ও ব্যবসা-বাণিজ্যে অবনতি ঘটতে থাকে| সুলতান বাধ্য হয় স্বর্ণ মুদ্রা বিনিময় সমস্ত তামার মুদ্রা বাজার থেকে তুলে নিলেন, ফলে রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়ে এবং সুলতান নিজের পতন ডেকে নিয়ে আসেন| তবে এক্ষেত্রে আমাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, সুলতান যে পরিকল্পনা গ্রহণ গ্রহণ করেছিলেন সেটি ঠিক ছিল এবং তার মুদ্রা প্রচলন সুলতানের দক্ষ জ্ঞানের পরিচয় বহন করে|
Blogger দ্বারা পরিচালিত.