ইন্দিরা গান্ধীর কোপে পড়তে হয়েছিল সুচিত্রা সেনকে


Odd বাংলা ডেস্ক: অনেকেই এটা জানেন না যে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এত ভয়ঙ্কর মহিলা ছিলেন যে তাঁর রোষে পড়তে হত বিভিন্ন শিল্পীদেরও। তেমনই তাঁর কোপে পড়েছিলেন বাংলার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ১৯৬৩ সালে ‘সাতপাকে বাঁধা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সুচিত্রা সেন ‘সিলভার প্রাইজ ফর বেস্ট অ্যাকট্রেস’ জয় করেন। ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান প্রদান করে। 

শোনা যায়, ২০০৫ সালে তাঁকে ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু জনসম্মুখে আসতে চান না বলে এ পুরস্কার গ্রহণ করতে চাননি। ২০১২ সালে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করা হয়। ২৫ বছরের অভিনয়জগতে নিজের রূপ-সৌন্দর্য ও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রেখে এভাবে নিজেকে পর্দার আড়ালে গুটিয়ে নেওয়ায় তাঁকে নিয়ে যত মিথ চালু হয়। বলা হয়, সুচিত্রা সেনের কোনো বিকল্প নেই। তিনিই তাঁর বিকল্প। এমন মহানায়িকার বিকল্প হয় না। 


এই সিনেমাতে সুচিত্রা সেনের চরিত্রটি অনেকটা ইন্দিরা গান্ধীর মতো দেখতে ছিল


তাঁর হিন্দি ‘আন্ধি’ গুজরাটে মুক্তির পর ২০ সপ্তাহ নিষিদ্ধ ছিল। কারণ তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাতে তৎকালীন ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া থাকার কারণে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ’৭৭ সালে ক্ষমতা থেকে ইন্দিরা গান্ধীর বিদায় ঘটলে গুজরাটের টেলিভিশন চ্যানেলে ছবিটি প্রচার করা হয়। 

স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবনে রামকৃষ্ণ মন্দির ঘিরে বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন তিনি। নির্জন ও নিভৃত জীবনযাপন করায় হলিউড কিংবদন্তি গ্রেটা গার্বোর সঙ্গে অনেকে তাঁর মিল খুঁজেছেন। সময় শিডিউল না থাকার কারণে কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘চৌধুরাণী’ ছবিতে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন সুচিত্রা সেন। এ কারণে অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ ছবিটিই আর বানাননি। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.