দুটি ধূপকাঠিতে সিঁদুর মাখিয়ে ঠাকুরের সামনে রাখুন, আর দেখুন


Odd বাংলা ডেস্ক: ভাগ্য কখনও অলস বা কাপুরুষকে সাহায্য করে না। কথায় আছে সুযোগ এসে তোমার দরজায় টোকা দেবে তার অপেক্ষা কোরো না। নিজের চেষ্টায় একটা দরজা বানিয়ে নাও। তাই একথা অস্বীকার করে লাভ নেই যে চেষ্টা সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি। কিন্তু বহু মানুষ এরকম আছেন যারা চেষ্টার কোন কমতি রাখেন না। তবু ভাগ্যদেবী তাদের ওপর প্রসন্ন হন না। বিষয়টি ইংরাজি কবিতা ‘দ্যা নর্থ শিপ’ এর মতো খানিকটা। প্রথম জাহাজটিকে বাতাস ও সমুদ্র যার পর নাই সাহায্য করল আর সে পৌঁছে একটি ধনী দেশে। দ্বিতীয় জাহাজটি সম্পূর্ণ ভাবে বিফল হল। সমুদ্র তাকে পরাজিত করে ফিরিয়ে দিল। আর তৃতীয়টির কপালে রইলো লম্বা যাত্রা। বহু দুর্যোগ সহ্য করেও সে সাফল্যের মুখ দেখতে পেলো না কিছুতেই। 

যুদ্ধে তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলো ঠিক কথা, তবে একটা সময়ের পর জীবনে সাফল্য তো সকলেই চায়। জীবনে লব্ধপ্রতিষ্ঠ হতে আমি আপনি সকলেই চাই। যাবতীয় প্রচেষ্টা তো তারই জন্য। আপনার অবস্থা জীবনে যদি ঐ তৃতীয় জাহাজটির মতো হয় তবে চেষ্টা ছাড়াও আরও কিছু উপায় অবলম্বন করতে কি কোনো অসুবিধা আছে? বিশ্বাস হল এক শক্তি। কেউ কেউ এর নাম কুসংস্কারও দিয়ে থাকেন। কিন্তু একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু আছে যা বিজ্ঞান দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় না। মানুষ পৃথিবীতে এসছে অনেক পরে। এই মহা বিশ্বে এত কাণ্ড যে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে তার হিসেব কি কেউ দিতে পারে? আর জীবনে যদি অনেক রকম টোটকা ব্যবহার করে কি ক্লান্ত আপনি? তবে এইটা একবার চেষ্টা করেই দেখুন। বৃহস্পতি বার লক্ষী দেবীর মুখ দর্শনের জন্য তো পাঁচালি অনেকেই পড়েন। আর ধূপ ধরানোর অভ্যাস তো প্রায় সকলেরই আছে। ব্যাস তাহলেই হয়ে গেল। এই টোটকা মানতে আপনার লাগবে না একগাদা উপকরণ। দুটি ধুপকাঠি নিন, তার গায়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাখিয়ে নিন সিঁদুর। এবার লক্ষী বার অর্থাৎ বৃহস্পতি বার মায়ের আসনের সম্মুখে জ্বালুন ধূপ দুটি। তবে একটি পূর্ণিমার দিন বেছে নিতে হবে আপনাকে এর জন্য। পুরো ধূপ দুটি একদিনে জ্বালিয়ে ফেলবেন না। কমপক্ষে এক সপ্তাহ জ্বালানোর চেষ্টা করবেন। আর যেদিন জ্বালাবেন সেদিন পাঠ করুন লক্ষীর পাঁচালি। মেনে চলুন এটি, সংসারে শান্তি ফিরে আসবে অবশ্যই। অর্থের মুখ দেখবেন আপনি। জীবনে সবরকম ভাবে উন্নতি করবেন আপনি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.