অন্যের সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে পালালো মেয়র


Odd বাংলা ডেস্ক: ভালোবাসার কোনো বয়স হয় না। কথাটা যেমন সত্যি, তেমনই ভালোবাসার অপব্যবহার হয় বিভিন্ন জায়গায়। অনেকে তার ভালোবাসা নিয়ে খুব আদর্শবান, আবার ভালোবাসা অনেকের কাছে খেলার পাত্র। তার উপর বাংলা সিরিয়াল, সিনেমা গুলোতে ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে যা দেখায় তাতে মানুষ আরও বেশি খারাপের পথে যাচ্ছে। বর্তমানে অনেক মানুষই পরকীয়ায় মেতে উঠেছে। অবিবাহিত মেয়েদের থেকে বিবাহিত মহিলারা পরকীয়ার দিকে বেশি ঝুঁকছে। বাংলা সিরিয়াল ও সিনেমা গুলোতে অনেক সময় পরকীয়া নিয়ে কাহিনী দেখানো হচ্ছে। এই ঘটনা গুলো সাধারন মানুষের মনে প্রভাব ফেলছে। কারন আমজনতা বিনোদন জগতের খারাপ জিনিসটাকে বেছে নেয়।

আদালতও এখন পরকীয়াকে বৈধ বলে রায় দিয়েছে। তাই অন্যের বউ এর সাথে প্রেম করাটা এখন আর অপরাধ নয়। তাই কিছু মানুষ এই ব্যপারটিকে খেলার ছলে নিয়ে নিয়েছে। এরমই এক পরকীয়ার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের উলাপারায়। প্রায় সিনেমার মতো করে বাস্তবে অন্যের বউকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনা ঘটল সিরাজগঞ্জের উলাপারায়। জানা গেছে সেখানকার মেয়র এম.এস.নজরুল স্থানীয় এক ব্যবসায়ী রাজন আহমেদের স্ত্রী গুলসানা পারভিন পান্নাকে কার্যত তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যপার হল এই ঘটনা নিয়ে কেউ এখনো কোনোরকম মুখ খোলেননি বা প্রশাসনের তরফে কোনো সাহায্য চায়নি গুলসানার স্বামী রাজন। আরও জানা গেছে গুলসানা একটি স্কুলে সহকারী শিক্ষিকার কাজ করেন। সেখানে গত বছর নজরুল অথিতি হয়ে এসছিলেন একটি অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে গুলসানকে তার ভালো লাগে। তারপর থেকে গুলসানকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখাতে থাকে নজরুল। 

কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো লাভ হয় না। এরপরই নজরুল তার লোক দিয়ে গুলসানকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। এই ঘটনা নিয়ে তার স্বামী কোনোরকম মুখ খোলেননি। তবে তিনি বলেছেন তার ১৬ বছরের সন্তান রয়েছে। তিনি তাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এদিকে মেয়র নজরুল গুলসানাকে নিয়ে হানিমুনে গেছেন। শুধু তাই নয়, হানিমুনের ছবিও শেয়ার করেছেন। আর সেখানে গুলসানকে দেখে কোনোভাবেই মনে হচ্ছে না তাকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে। তিনি বেশ আনন্দে রয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। এদিকে সুত্রের খবর তিনি দিনের পর দিন স্কুলে না গিয়ে মাইনে তুলছেন। অবশ্য এই নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.