নাজকা লাইন: যার উত্তর আজও খুঁজে পেল না বিজ্ঞানীরা
Odd বাংলা ডেস্ক: পেরুর নাজকা লাইনের কথা হয়তো অনেকেই শুনেছেন। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে আঁকা বিশাল বিশাল সব রেখাচিত্র অনেক দিন ধরেই মানুষকে কৌতুহলী করে চলেছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এসব ভূমির উপর আঁকা রেখাচিত্র শুধুমাত্র অনেক উপর থেকে দেখলেই কেবল গোটা চিত্রটা বুঝতে পারা যায়। কিন্তু কারা, কখন, কিভাবে আর কেনই বা এই রেখাচিত্রগুলো এঁকেছিলো তা নিয়ে কিন্তু রহস্যও কম ঘনয়ানি।
নাজকা লাইন রহস্য ! যার উত্তর এখনও খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা
পেরুর রাজধানী লিমা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে নাজকা এবং পাল্পা শহরের মাঝে এই নাজকা লাইন অবস্থিত। মরুভূমিটির প্রায় ৪৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আঁকা হয়েছে বিভিন্ন জীবজন্তু, গাছ, এলিয়েন ও বহু জ্যামিতিক নকশা, যার মধ্যে কোনো কোনোটি আবার ২০০ মিটার পর্যন্ত বড়।
খ্রিস্টপূর্ব ২০০-৬৫০ খ্রিস্টাব্দের মাঝে এ নকশাগুলো আঁকা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই লাইনটি সর্বপ্রথম মানুষের চোখে পড়ে ১৯৩০ সালের দিকে, যখন এই এলাকা দিয়ে প্রথম বিমান চলাচল শুরু হয়। বিমানের সেই যাত্রীদের মাধ্যমে পুরো খবর ছড়িয়ে পড়লে রীতিমত হইচই শুরু হয় সারা বিশ্বজুড়ে। রহস্যের সমাধানে এগিয়ে আসেন বিজ্ঞানীরা।
আজকের বিজ্ঞান ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে, নাজকা সভ্যতার লোকেরা এসব ভূগোল ব্যবহার করত দেবতাদের সাথে যোগাযোগ করার উপায় ভেবে। বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতির অংশ হিসেবে নাজকার অধিবাসীরা এসব এঁকেছিল। এটিকে অনেকে এক ধরনের এস্ট্রোনমিক্যাল ক্যালেন্ডার হিসেবেও অভিহিত করেন।
কম্পিউটারের দ্বারা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, নাজকাতে আঁকা একটি বিশালাকার মাকড়সার ছবির সঙ্গে অরিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জের যথেষ্ট মিল রয়েছে। অনেকে নাজকা লাইনের সাথে এলিয়েনদের সংশ্লিষ্ট করার চেষ্টা করেন, যদিও এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই। নাজকা লাইন নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও কাজ করছেন। ভবিষ্যতে হয়তো আরও চমকপ্রদক তথ্য অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
Post a Comment