ফুচকা খাবেন? জানেন কীভাবে তৈরি করে ফুচকা? পা দিয়ে ঠাসা আটা, মিশছে প্রস্রাবও


Odd বাংলা ডেস্ক: ফুচকা একটি অতি জনপ্রিয় সুস্বাদু মুখরোচক খাদ্য। সারা দেশের সব জায়গাতেই এই বিশেষ খাদ্যটির প্রচলন রয়েছে। ফুচকা এমন একটা খাদ্য যার নাম শুনলে খেতে ইচ্ছা করে, বিশেষ করে মহিলারা এই খাদ্যটির বিশেষ ভক্ত। অনেকেই হয়তো জানেন না যে ফুচকা কিভাবে তৈরি হয় ? আসলে ফুচকার যে আটা বা ময়দা সেটা মাখা হয় পা দিয়ে।


প্রায় সব ফুচকা তৈরির কারখানায় পা দিয়ে দলিয়ে ফুচকার কাই তৈরি করা হয়। বাংলার এক ফুচকা কারখানার মালিক জসিম উদ্দিন বলেন যে, তারা কাজ শিখেছেন মুর্শিদাবাদে। সেখানে খালি পায়ে ফুচকা তৈরি সেখানো হয়েছে।


তিনি আরও বলেন যে, শুধু এখানে নয় সারা ভারতবর্ষ জুড়ে খালি পায়ে দলেই ফুচকার কাই তৈরি করা হয়। এখনও এই পদ্ধতির কোন বিকল্প তৈরি হয়নি। কারখানায় যে সব কর্মচারিরা কাজ করেন তারাও জানান যে ওই কারখানায় প্রায় ৫ বছর ধরে কাজ করছেন তারা।


আর পাঁচ বছর তারা একই পদ্ধতিতে কাজ করে চলেছেন। তারা এতদিন ধরে পায়ে দলেই কাই বানিয়ে এসেছেন। তারাও বলেন যে এই পদ্ধতির কোন বিকল্প হয়নি। কিন্তু ফুচকা তৈরির এই পদ্ধতি কারোর জানা নেই।


নদীয়ার এক ফুচকা প্রেমিক বলেন ফুচকা কীভাবে তৈরি হয় তার জানা নেই। কিন্তু তার ফুচকা খেতে খুব ভালোলাগে। তিনি যখন জানলেন ফুচকা তৈরির পদ্ধতি তখন তিনি বলে উঠলেন যে আর ফুচকা খাওয়া যাবেনা। তিনি ইয়ারকি করে বলেন যে ফুচকাকে তিন তালাক।


আর এক ফুচকা প্রেমি সাইমুন বলেন, এভাবে সকলকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। সকলে টাকা দিয়ে ফুচকা কেনে আর সেটা নাকি তৈরি হচ্ছে পা দিয়ে। তিনি বলেন যে তিনি আর ফুচকার আশেপাশে জাবেন না। এখন থেকে তিনি ফুচকা বর্জন করবেন।


এক ফুচকা বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা করা হলে সে জানায় যে তারা জানেনা কীভাবে ফুচকা তৈরি করা হয়। তারা দাম দিয়ে ফুচকা কিনে আনে কারখানা থেকে। যদি পা দিয়ে ফুচকা তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে তা খুবই অন্যায়।


শুধু ফুচকা কেন কোন খাদ্যদ্রব্যই পা দিয়ে বানানো উচিৎ নয়। পায়ে থাকা ধুলো ময়লা যায় সেই খাবারে। আর সেই খাবার খেলে শরীর খারাপ হবে অবধারিত। প্রশাসন এই ক্ষেত্রে কেনো কিছু করছে না তা জানা নেই। চাইলেই প্রশাসন নজরদারি রাখতে পারে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.