খাবার না পেয়ে নিজের সন্তানকেই খেয়ে নিল মেরু ভালুক


Odd বাংলা ডেস্ক: মেরুভালুকদের মধ্যে মাংস খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাশিয়ার শীর্ষ বৈজ্ঞানিক সংস্থা রাশিয়ান একাডেমী অব সায়েন্স-এর এক বৈজ্ঞানিক সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন। তাঁদের খাদ্যাভ্যাসে এমন বদল আসার কারণ হিসাবে ওই বৈজ্ঞানিক জানিয়েছেন, মানুষের ক্রিয়াকলাপ এবং তাদের শিকারের ক্ষেত্র কমে আসা। 

যদিও মেরুভালুকের মাংস ভক্ষণের বিষয়টি এই প্রথম নয়। এর আগেও মেরুভালুকের মাংস খাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেভের্তসভ ইনস্টিটিউট অফ ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনের সিনিয়র গবেষক ইলিয়া মোরডিভিনস্টেভ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে মেরুভালুকদের মাংস ভক্ষণের প্রবণতা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাঁর কথায় মেরু ভালুকদের এই প্রবণতা এক দীর্ঘ প্রতিষ্ঠিত সত্য। কিন্তু এখন বিষয়টি আরও ঘন ঘন দেখা গিয়েছে। 

ইলিয়া এই প্রবণতার নেপথ্যে দুটি কারণের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। যার মধ্যে একটি হল অপর্যাপ্ত পুষ্টি, যার ফলে মা-বাবা মেরু ভালুকরা তার ছানা ভালুকদের খেয়ে ফেলছে, বা বলা ভাল নিজের শিশুদের খেতে বাধ্য করছে। আর একটি বিষয় আর্কটিকে জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে। যার ফলে মনে করা হচ্ছে আর্কটিকে মেরুভালুকের নরমাংস ভক্ষণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। 

পাশাপাশি আর্কটিকের মানুষের ক্রিয়াকলাপও মেরুভালুকের জীবনচক্রের ওপর একটা গুরুতর প্রভাব ফেলে। তিনি আরও যোগ করেছেন, ওব উপসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়ন এবং সেখান থেকে বেরেন্টস সাগরে যাওয়ার এই পথ, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বহনকারী জাহাজগুলির জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসাবে পরিণত হয়েছে। যা এইসব প্রাণীদের জীবনযাত্রার ওপর বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছে। 

ওব উপসাগরে ছিল মেরুভালুকদের শিকারের একটি উপযুক্ত জায়গা। তবে উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে এখানকার বরফ ভেঙে যাচ্ছে, যার ফলে সিল মাছ শিকার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে তাদের পক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টির অভাবে তাদের নরমাংস ভক্ষণে বাধ্য করছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.