একই পরিবারের চারজনের প্রাণ কেড়ে নিল ‘আলু’! কিন্তু কীভাবে? জানলে চমকে যাবেন?


Odd বাংলা ডেস্ক: রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রতি বছরই শীত আসার আগে শীতের জন্য শাক-সবজি সঞ্চয় করে রাখেন। ৮ বছরের মারিয়া চেলিশেভার বাবা-মাও তেমনটাই রেখেছিলেন। বাড়ির ভূগর্ভস্থ একটি ঘরে রাখা ছিল কয়েক বস্তা আলু। দিন কয়েক পরে বাড়িতে ভাঁড়ারে রাখা আলু যখন শেষ হয়ে যায় তখন মারিয়ার বাবা যান আন্ডারগ্রাউন্ড সেলার থেকে সঞ্চিত আলুর কিছুটা নিয়ে আসতে। তিনি আর ফেরেননি। স্বামীর কী হলো তা দেখতে তারপর ভূগর্ভস্থ সেলারে প্রবেশ করেন মারিয়ার মা। তিনিও ফিরছেন না দেখে একে একে সেখানে যান মারিয়ার দিদি আর দাদা। কিন্তু তারা কেউই ফেরেননি। আতঙ্কিত মারিয়া চেঁচামিচি শুরু করলে ছুটে আসেন পাড়া-প্রতিবেশী। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ সন্দেহবশত মুখে গ্যাস মাস্ক পরে ঢোকে মারিয়াদের বাড়ির সেলারে। দেখা যায়, পরিবারের চার সদস্য সেখানে মরে পড়ে রয়েছেন। পুলিশ প্রথমটা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই বুঝে উঠতে না পারলেও পরে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বুঝতে পারেন, আসলে ওই আলুই মৃত্যুই কারণ। 

সঞ্চিত আলুর মধ্যে একাংশ পচে গিয়েছিল এবং তার ফলেই তা থেকে বের হয় এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাস। যা নিঃশ্বাসের ফলে শরীরে প্রবেশ করে মৃত্যু ঘটায় একই পরিবারের চার সদস্যের। কিন্তু কীভাবে এমনটা সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলুতে থাকে গ্লাইকোঅ্যালকয়েড নামের এক ধরনের সিন্থেটিক এক্সকারবেট। সাধারণত মাটির নিচে হওয়া শাকসবজিতেই এগুলি অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। আলুতেও এই গ্লাইকোঅ্যালকয়েডের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় আলুতে এই গ্লাইকোঅ্যালকয়েড শরীরের পক্ষে সহনীয় মাত্রাতেই থাকে। কিন্তু আলু অনেক পচে যায়। এবং পচা আলু থেকে নির্গত হয় এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাস যা বিশেষ অবস্থায় মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। যেমনটা হয়েছিল মারিয়াদের পরিবারের ক্ষেত্রে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.