ধর্ষণ থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার ফতোয়া খুঁজছে সিরিয়ার মুসলিম নারীরা
Odd বাংলা ডেস্ক: যুদ্ধ ও দখলদারিত্বের অভিশাপে জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া। চলছে যু’দ্ধ। জীবনযু’দ্ধের নাজুক পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে দেশটির নারীরাও। ধ’র্ষণ আর শ্লীলতাহানির অ’ভিশাপে তাদের জীবন অ’তিষ্ঠ। ধ’র্ষণ থেকে বাঁচতে তারা খুঁজছে আত্মহ’ত্যার ফতোয়া।
যু’দ্ধ আর অ’ত্যাচার নি’র্যাতনের নি’র্মমতার অ’ভিশাপ থেকে বাঁচতে অনেক মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। পরিবারের সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে পাঁচ বছরের নিষ্পাপ শি’শু আয়লান কুর্দীও বাঁচতে পারেনি। নদীতে ডুবে মা’রা গেছে শি’শু। সমুদ্রের তীরে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা আয়লানের নিথর দেহ বিশ্ব বিবেককে কাঁদিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলা যু’দ্ধে পুরো সিরিয়া বি’ধ্বস্ত। যু’দ্ধ ও নি’র্যাতনের ভয়াবহতা এত বেশি যে বাইরে থেকে তা কল্পনা করাও অসম্ভব। প্রতিদিন শুধু অসংখ্য নর-নারী নি’হতই হচ্ছে না বরং প্রতিদিন সেখানে ধ’র্ষিত হচ্ছেন অসংখ্য নারী। মা’রাত্মক এ অবস্থায় নারীরা ধ’র্ষিত হওয়ার আগেই তা থেকে বাঁচতে আত্মহ’ত্যার ফাতোয়া খুঁজছে!
সিরিয়ার প্রখ্যাত ইস’লামিক স্কলার মুহাম্ম’দ আল ইয়াকুবি টুইট করেন, যু’দ্ধে নিয়োজিত সাম’রিক গ্রুপের ধ’র্ষণ থেকে রক্ষা করতে নিজ স্ত্রী’-কন্যা-বোনদের হ’ত্যা করার হুকুম জানতে চেয়েছেন এক ব্যক্তি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিরিয়ার আলেপ্পোর এক নারীর প্রকাশ পাওয়া বার্তা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। সে নারী বলেন, ‘আমি এখনও জীবিত। এটা আমা’র সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য আমি জানি না। কারণ, এখানে কোনো নারীর বেঁচে থাকার অর্থই হলো কোনো না কোনো গ্যাং কর্তৃক নিশ্চিত ধ’র্ষিত হওয়া।’
ওই নারী বলেন, ‘আমি কারও কারুণা চাই না। আমা’র বোঝাপড়া একান্ত আমা’র নিজের। আমাকে আল্লাহর কাছে ন্যস্ত করুন। তিনিই আমা’র জন্য যথেষ্ট। আত্মহ’ত্যার পর আমাকে যেন অযথা দোষারোপ করা না হয়- আমি শুধু এইটুকু চাই!’
কারণ বর্ণনা করে সে নারী আরও বলেন, ‘জাহান্নাম এখন আর ভয় পাই না। কারণ বেঁচে থাকাও কোনো অর্থে নরকী’য় অবস্থার চেয়ে কিছু কম নয়। আমা’র বাবা-মা বেঁচে নেই। আমা’র মৃ’ত্যুই বেঁচে যাওয়ার উপায়। বেঁচে থেকে পশু-প্রা*ণীদের আনন্দের বস্তুতে পরিণত হতে চাই না। আমি মানুষের সমালোচনার পরোয়া করি না। তারা আমা’র যা ইচ্ছা সমালোচনা করুক। তবু আমি হায়েনাদের স্প’র্শমুক্ত পবিত্র মৃ’ত্যু চাই।’
যু’দ্ধবি’ধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার আলেপ্পো নতুন এক দোজখ। যেখানে কেউ ধ’র্ষণ ও নি’র্যাতনের আ’গুনে পুড়ছেন কেউবা পোড়ার অ’পেক্ষায়। তাই তো অসহায় নারী ও ভাই-বাবা কিংবা ছেলেদের জিজ্ঞাসা ধ’র্ষিতা হওয়ার থেকে আত্মহ’ত্যা শ্রেয় নয় কি?
Post a Comment