কঠিন কঠিন ব্যাধির হাত থেকে আপনাকে বাঁচাবে বাসি রুটি


Odd বাংলা ডেস্ক:  বাসি খাওয়া কখনই খাওয়া উচিৎ নয়। ফ্রিজে খাওয়ার রেখে পরের দিন গরম করে খেলেও আপনার শরীরের হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। অন্তত আমরা ছোট থেকে এটাই জেনে এসেছি আমাদের মা বাবার দৌলতে। তাছাড়া বিভিন্ন রোগের উৎপাদন হয় বাসি খাওয়ার খেলে, এরামটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানিরা। তাই সব সময় আমাদের টাটকা খাওয়ার খেতে বলা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিনিয়ত ব্যস্ত জীবন জাপনের কারনে সেটা হয়ে ওঠে না । আজকাল সবাই খুব ব্যাস্ত। প্রতি দিন রান্না করে খাওয়ার সময় কারোর কাছেই আজকাল নেই। ব্যাস্ততার কারনে সময়ের বড়ই অভাব মানুষের কাছে। কাজ আর কাজ করে সবাই পাগল। তাই ১ দিন রান্না করে ৭ দিন ধরে খাই আমরা সবাই। কিন্তু নিজেদের কি মারাত্মক ক্ষতিটা করছি সেটা আমরা নিজেরাও জানি না। কিন্তু বাসি রুটি খেলে হয় না কোন ক্ষতি। উলটে হয় উপকার। জানেন কি? জেনে নিন তাহলে। গবেশনায় দেখা গেছে যে বাসি রুটিতে আছে এমন কিছু বিশেষ উপাদান যা আপনার রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় খাওয়ার হজমের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে বাসি রুটি। আরও এমন কিছু কঠিন রোগ আছে যা শুধু মাত্র বাসি রুটির দ্বারাই প্রতিরোধ করা যায়।

এনার্জি লেভেল বাড়ায় : সকালে তাড়াতাড়ি অফিস না পৌঁছালে বস গালাগাল দেবে। কিন্তু রাতে কাজ করার ফলে ঘুম বিশেষ হয়নি। একদম চাপ নেবেন না। বাসি রুটি খান সাথে এক পেট জল। আপনার পেট ভর্তিও থাকবে আর আপনার এনার্জি লেভেলও থাকবে তুঙ্গে। কাজে মনও বসবে আর শরীর ঠিক থাকবে।

হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে: শুনলে হয়তো অবাক হবেন, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাসি রুটি খেলে কোন রখমের হার্টের রোগ হওয়া সম্ভব নয় আপনার। রক্ত চলাচল ভালো হলে আপানার হার্টও ভালো থাকবে। আর হার্ট ভালো থাকলে হার্টের রোগের আশঙ্কাও হবে কম।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়: বাসি রুটিতে আছে ভিভিন্ন ফাইবার যা আপনার হজম ক্ষমতা বাড়াবে। সকালে দুধে ভিজিয়ে বাসি রুটি খেলে হজম ক্ষমতার মারাত্মক উন্নতি ঘটে। আপনার হজম ক্ষমতা বাড়লে খিদেটাও তার সাথে বাড়বে। শরীর সব সময় সতেজ ও চনমনে থাকবে।

শরীরের ওজন কমায়: বাসি রুটিতে উপস্থিত ফাইবার আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখে। ফলেও খিদে কম পাবে আর খাওয়ার পরিমাণও কমবে। তাই এবার থেকে রাতে রুটি বেঁচে গেলে ফেলে না দিয়ে পরের দিন সকালে উঠে দুধ দিয়ে খেয়ে নিন ব্রেকফাস্টে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: ঠান্ডা দুধ দিয়ে বাসি রুটি খেলে শরীরের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যার প্রভাবে দেহে সোডিয়াম বা নুনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও দুধ-রুটি খেতে পারেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.