নপুংসক হওয়ার কারণে যে রাজাকে রাজত্ব হারাতে হয়েছিল


Odd বাংলা ডেস্ক: শারীরিক সম্পর্ক নামক বিষয়টি বৈধতা পায় বৈবাহিক বন্ধনের মতো আদি অথচ অমলিন এক বন্ধনের মধ্য দিয়ে। মধ্যযুগীয় ইউরোপও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সেখানেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার পবিত্র এ সম্পর্ককে বৈবাহিক বন্ধনের দৃঢ়তার পেছনে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে ভাবা হতো। তবে দুজনের কেউ যদি সন্তান জন্মদানে অক্ষম হতো কিংবা সঙ্গীকে পরিতৃপ্ত করতে অক্ষম হতো, তাহলে অপরজন আদালতে গিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করতে পারতো!

এক্ষেত্রে স্বামী দোষী হলে তাকে আদালতে প্রমাণ করা লাগতো যে, না, তিনি এখনও একজন সক্ষম পুরুষ! নাহলে বিয়ে টিকতো না। তৎকালীন ইউরোপে এরকম অনেকগুলো কাহিনীরই সন্ধান পাওয়া যায়, যেখানে নপুংসতার দরুন স্বামীকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল। এর মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাতটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১১৯৮ সালে। অভিযোগ আনা হয়েছিল ফ্রান্সের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ। অভিযোগকারিনী ছিলেন ফিলিপেরই ২য় স্ত্রী, যিনি একইসাথে ড্যানিশ রাজা ১ম ভ্যালডেমারের কন্যা, ইঙ্গেবর্গ। এর ফলে রাজা ক্ষমতাচ্যুত হন। এবং পরে তার স্ত্রী তারই ভাইকে বিয়ে করেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.