স্বামী মারা গেলেও বিধবা হয় না এই গ্রামের মহিলারা,জেনে নিন এখানকার অদ্ভুত রীতি


Odd বাংলা ডেস্ক: বিয়ে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্নরকমের ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এমন কিছু রীতি-নীতি যা শুনলে প্রাথমিকভাবে আজগুবি বলেও মনে হতে পারে, কিন্তু এইসব রীতি-নীতি কিন্তু সত্যি। 

আজকের প্রতিবেদনে সমাজের এমন এক রীতির কথা আপনারা জানতে চলেছেন, তা নিশ্চয় আগে কেউ শোনেননি। বলা হয়ে থাকে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক এই সম্পর্ক সাত জন্ম ধরে দুটি মানুষকে প্রেমের বাধনে বেঁধে রাখে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশন স্বামীর প্রয়াণে স্ত্রীদের যে কি অবস্থা হয় তা একমাত্র বৈধব্য জীবন যাঁরা কাটান তাঁরাই জানেন। সমাজে আজও একজন বিধবাকে সোজা চোখে দেখা হয় না। কোনও শুভ অনুষ্ঠানে প্রবেশের অধিকার মেলে না বিধবাদের। 
কিন্তু এই ভারতেই এমন এক জায়গা আছে যেখানকার মহিলারা তাঁদের স্বামীর মৃত্যুর পরও বিধবা হন না। বরং স্বামীর মৃত্যুর পরে এরা নতুন স্বামী পান। মধ্যপ্রদেশের বিহঙ্গ গ্রামে গেলে আপনি কোনও বিধবা মহিলা খুঁজে পাবেন না। এখানকার সব মহিলাদের সিঁথি রাঙানো সোহাগী সিঁদুরে। এই গ্রামের নিয়ম অনুসারে, গোন্ড আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত কোনও মহিলার স্বামীর মৃত্যুর পরে স্বামীর পরিবারের অন্য কোনও অবিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। 

স্বামী বিয়োগের পর ওই মহিলাকে স্বামীর বড় বা ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে স্বামীর ভাইকে বিয়ে করতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। মহিলা চাইলে স্বামীর পরিবারের যে-কোনও অবিবাহিত পুরুষকেই বিয়ে করতে পারেন। তবে মহিলা যাঁকে নির্বাচন করবেন সেই পুরুষ যদি ওই বিধবা মহিলাকে বিবাহ করতে না চান, তাহলে স্বামীর মৃত্যুর দশমতম দিনে ওই পুরুষ বিধবা মহিলাকে রুপোর চুরি উপহার দেবেন। সত্যিই অদ্ভুত নিয়ম! তাই না!
Blogger দ্বারা পরিচালিত.