বাবা-মা সবজি বিক্রেতা, অ্যারোসায়েন্সের পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করল মেয়ে!


Odd বাংলা ডেস্ক: কর্ণাটকের বিশ্বেশ্বরাইয়া টেকনলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ভিটিইউ) অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এক সবজি বিক্রেতার মেয়ে। ২২ বছরের আর ললিতা সকল প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন। 

তাঁর পরিবারে ললিতা প্রতম প্রজন্মের স্নাতক। তাঁর পরিবার প্রজন্ম ধরেই কিন্তু সবজি বিক্রয় করে আসছেন। কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ললিতা পরীক্ষায় শতকরা ৯.৭ ভাগ নম্বর পেয়েছে। 

কর্ণাটকের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে ললিতার জীবনকাহিনি। সেখান থেকে জানা যায় যে, ললিতা প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে বাজারে শাকসবজি বিক্রি করার সময় তার বাবা-মা-কে সাহায্য করে। এর মধ্যেই বেঙ্গালুরুর ইস্ট-ওয়েস্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। 

আর্থিক কষ্টের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতাকেও যে সে এইভাবে জয় করতে পারবে, তা হয়তো ভাবতেই পারেননি তাঁর বাবা-মা। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি তাঁর পরীক্ষার রেজাল্ট দেখেই কার্যত হতবাক তাঁর ববা-মা। এমনকী GATE পরীক্ষাতেও ৭০৭ স্কোর ছিল তার। 

আর ললিতা তাঁর এই কৃতিত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে একটি স্বর্ণপদকও পাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি বিদেশ যেতে চান না বরং এখানে থেকেই কাজ করতে চান। তিনি আরও বলেছিলেন যে ইসরো প্রধান কে সিভান তাঁর সবচেয়ে বড় প্রেরণা। তাঁর কৃতিত্বের খবর ভাইরাল হওয়ার পর, নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তাঁর জন্য অভিনন্দন বার্তা টুইট করেছেন-
Blogger দ্বারা পরিচালিত.