এই বিশেষ প্রাণীর নারীদেহে থাকে পুরুষাঙ্গ ও পুরুষের দেহে থাকে যোনি


Odd বাংলা ডেস্ক: বিচিত্র দৈহিক মিলন! নারী সঙ্গীর শরীরে জন্ম নিচ্ছে ‘পুরুষাঙ্গ’। সে তাই দিয়ে শারীরিক সঙ্গমে লিপ্ত হচ্ছে পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে। পুরুষ সঙ্গীর শরীরে রয়েছে যোনির মতো দেখতে অঙ্গ। এমন আশ্চর্য সঙ্গম চলে দিনের পর দিন। প্রাণীবিজ্ঞানে যৌন মিলনের চেনা ছবির একেবারেই উলটো ছবি এই বিশেষ প্রজাতির উকুনদের সংসারে। দেখে বিস্ময়ে হতবাক গবেষকরা। 
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রজাতির উকুনের দেখা মেলে। এরা গুহাবাসী। ‘বায়োলজি লেটার্স’ নামের এক জীববিদ্যা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে এই উকুনদের শরীরী খেলার সন্ধান মিলেছে। গবেষণাপত্রটির অন্যতম রচয়িতা জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজুনোরি ইওশিজাওয়া জানাচ্ছেন, স্ত্রী-উকুনেরা পুরুষ সঙ্গীদের সঙ্গে বহুক্ষণ সঙ্গম করতে থাকে। দেখা গিয়েছে ৭০ ঘণ্টা পর্যন্ত এরা মিলিত হয়েছে!
কিন্তু কেন এমন উদগ্র যৌনতা? এর পিছনের কারণ চমকে দেয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, গুহার ভিতরে খাদ্যের সন্ধান পাওয়া বেশ শক্ত। তাই খিদে মেটাতেই যৌনতার আশ্রয় নেয় স্ত্রী-উকুনেরা। পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় তারা টেনে নেয় সঙ্গীর শরীরের শুক্রাণু। যা রীতিমতো পুষ্টিকর। এভাবেই তারা খিদে মিটিয়ে শরীর রক্ষা করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা সামনে কোনও পুরুষ সঙ্গী দেখলেই তার সঙ্গে মিলিত হয়। সঙ্গীর সম্মতি আছে কিনা সে নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা থাকে না। 
গবেষকরা এমনও দেখেছেন, পুরুষ সঙ্গীকে ধরে তার শরীর ছিন্ন করে গেলেও তখনও সঙ্গমে লিপ্ত থাকে স্ত্রী-উকুন। তাদের শরীরে উৎপন্ন পুরুষাঙ্গটির এমনতর সংযুক্তি ক্ষমতা দেখে বিস্মিত গবেষকরা। ঠিক কী করে এমন অদ্ভুত পরিবর্তন হল এই প্রজাতির উকুনদের শরীরে, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করছেন গবেষকরা।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.