পতিতাদের মৃত্যুর পর তাদের দেহের কী করা হয়?
Odd বাংলা ডেস্ক: আমরা সকলেই জানি পতিতাদের কাজ কি, কিভাবে তাদের পেট চলে দিনের পর দিন।পতিতা শব্দটি আমাদের সমাজের কাছে যেনো এক ঘৃণ্য শব্দে পরিণত হয়েছে।
ওদের দেখলেই দশ হাত দূর দিয়ে চলেন অনেকেই। কিন্তু ওরাও মানুষ।তাইনা? মানুষ তো ওরাও? সমাজের কিছু মানুষের কারণেই আজ ওরা পতিতার মতো এমন ঘৃণ্য পেশায় নিজেদের জড়িয়েছেন।
এদের মধ্যে প্রায় সকলেই স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর বয়স না হতেই এমন একটি পেশায় আসতে বাধ্য হয়। নানা পরিস্থিতির শিকার হয়ে, ফাঁদে পা ফেলে তারা বেছে নিতে বাধ্য হয় এমন অন্ধকার গলির পথ।
পরিণত বয়স না হলেও তাদেরকে এমন একটি ঘৃণ্য পেশায় জড়িত করা হচ্ছে। কম বয়সে এমন একটি পেশায় নিয়োজিত হওয়ায় এদের শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। বয়স বাড়তে না বাড়তেই নানা রোগ এদের শরীরে বাসা বাধে।
এদের মানে পতিতাদের এই করুণ অবস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও তাদের মৃত্যু পরবর্তী সৎকার ব্যবস্থা নিয়ে বলতে গেলে কোনো লেখালেখিই হয়না।
এই দিকটা নিয়ে কারোই যেনো কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রায় সব ধর্ম মতেই, পতিতারা নিষিদ্ধ। অপবিত্রতায় ভরা তাদের জীবন। সারাজীবন তারা যে পরিমাণ লাঞ্চনা সহ্য করে, তারচেয়ে আরো কয়েকগুণ বেশি লাঞ্ছনা পায় মৃত্যুর পরে !
অধিকাংশ পতিতা বিভিন্ন যৌন রোগে আক্রান্ত হয়েই মারা যায়। বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয় তাদের। পতিতাদের প্রতি যৌন অনুভুতি থাকলেও থাকেনা কারো মনে কোনোপ্রকার মানবতা। আজপর্যন্ত তেমন কোনো ইতিহাস নেই যে কেউ কোনো পতিতাকে বিয়ে করে সুন্দর একটি জীবন উপহার দিয়েছে। নানারকম লাঞ্ছনা ও ধিক্কার মধ্য দিয়েই জীবন পার করতে হয় তাদের।
সনাতনধর্ম সহ অন্যান্য ধর্ম মতেও তাদের সৎকার করা হয়না। সব ধর্মেই তারা অস্পৃশ্য। মৃত্যুর পর বস্তা বন্দি করে তাদের লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা অহরহ !
পতিতা মুসলিম ধর্মাবলম্বী হলে তাদের কোনো দাফন কাফনও হয়না। পড়া হয়না জানাজার নামাজ। কোনো কবরস্থানেই তাদেরকে দাফন করতে দেওয়া হয়না। তাদের জন্য করা হয়না মিলাদ বা দোয়া। এমনকি চল্লিশার অনুষ্ঠান থেকেও বঞ্চিত হয় মৃত পতিতারা।
পতিতালয়ের এক কোণে বা আশেপাশের বাগানে লুকিয়েই মাটি চাপা দেওয়া হয় অধিকাংশ সময়।শুনে অবাক হচ্ছেন তাইনা? কিন্তু এগুলোই সত্যি, অবাক হবেন আরো, পড়ুন পুরোটা
মানবাধিকার সংস্থাগুলো পতিতাদেরকে “পতিতা” না ডেকে যৌনকর্মী বলে ডাকা পর্যন্তই কাজ করেছে। কিন্তু তাদের দাফন-কাফন বা সৎকার নিয়ে কেউ কিছু করেনি আজও। কবে হবে তাদের শ্রাদ্ধের আয়োজন? কিংবা তাদের চল্লিশার অনুষ্ঠান? নাকি এভাবেই বস্তা বন্দি করে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে তাদের লাশ? এভাবে আর কত?
Post a Comment