গর্ভাবস্থায় হবু মায়েরা যেসব খাবার খাবেন এবং ছুঁয়েও দেখবেন না যেগুলি- রইল তালিকা


Odd বাংলা ডেস্ক: গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার এক একরকম খাবার খেতে ভাললাগে। তবে এমনকিছু খাবার গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়, যা থেকে গর্ভবতী মা এবং তাঁর সন্তানের ক্ষতি হতে পারে, তাই এক ঝলকে দেখে নিন গর্ভবস্থায় খাদ্যতালিকায় কী কী খাবার রাখা উচিত আর কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়। 

খাবেন না যেসব খাবার- 

১) আধ সেদ্ধ মাংস- আধসেদ্ধ মাংসে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় প্যাকেটজাত মাংস যেমন- সসেজ, সালামি খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। মাংস খেলে ভাল করে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।  

২) কাঁচা দুধ- কাঁচা দুধে লিস্টেরিয়া নামক এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ভাল করে না ফুটিয়ে দুধ পান করবেন না। কাঁচা বা অপাস্তুরিত দুধ দিয়ে তৈরি খাবার যেমন- পনির খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩) লিভার এবং লিভার থেকে বিভিন্ন পদ- লিভারে থাকে রেটিনল, যা একটি প্রাণীজ ভিটামিন-এ। এটি বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে, তা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৪) ক্যাফেইন- কফি ক্লান্তি দূর করার জন্য কার্যকর হলেও গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণ কম করতে হবে। চা, কফি ইত্যাদিতে ক্যাফেইন থাকে। দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম গ্রহণ করে। পাশাপাশি গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। 

৫) সামুদ্রিক মাছ- সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অধিক পরিমাণে খেলে গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদ থাকে। 

৬)  কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক। এতে গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটতে পারে।

যে যে খাবার খাবেন- 

১) ফল ও শাকসবজি- দিনে বেশি করে ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফলের চেয়েও শাকসবজি বেশি করে খান। জুস ও স্মুদি বানিয়ে পান করতে পারেন। তবে এগুলোর সুগার ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি করতে পারে এবং দাঁতেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই এগুলো সীমিত পরিমাণে পান করাই ভালো। তাজা ফল ও সবজি খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর।

২) স্টার্চ জাতীয় খাবার- আলু, লাল চালের ভাত, রুটি, পাস্তা ইত্যাদি স্টার্চ জাতীয় খাবার আপনার প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকায় রাখুন। শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে এনার্জি প্রদানে সাহায্য করে।

৩) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার- চর্বিহীন মাংস, মুরগী, মাছ, ডিম, ডাল (মটরশুঁটি, মসুর ডাল) ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। সপ্তাহে ২ দিন বা তার চেয়েও বেশি মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। আমিষ জাতীয় খাবার গর্ভের শিশুর শরীরের নতুন টিস্যু গঠনের জন্য সাহায্য করে। 

৪) দুগ্ধজাত খাবার- দুধ, পনির, দই ইত্যাদি খাবারগুলো ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। এগুলোর চিনি ও ফ্যাটের পরিমাণ যেন কম থাকে সেটি খেয়াল করতে হবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার কিন্তু শিশুর মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.