১ বছরের জন্য বউ ভাড়া, কুপ্রথা আজও সচল ভারতে


Odd  বাংলা ডেস্ক: বর্তমান জগতে সংসার করতে কে না চায়। কিন্তু সেই সংসারের সুখ থেকে অনেকেই হন বঞ্চিত। অনেকের জীবনে প্রেম হয় না, অনেকের জোটেনা মেয়ে। তারা সকলে বহু চেষ্টা করেন নিজের জন্য কিছু করার। অন্যদের বিয়ে হচ্ছে দেখলেই বলেন এইরকম আমার সাথেও হতেই পারতো বা আমি চাইনি বলে করিনি, আসল ব্যাপারটা অন্য। তারা মেয়ে জোটেনি সেটা বুঝতে না দেওয়ার জন্য এইরকম কথা বলেন। অন্যরা যাতে বুঝতে না পারেন তাদের কষ্ট অথবা অন্যদের কাছে যাতে শুনতে না হয় কথা। তাদের এই দুঃখ বা কষ্ট কোনদিনই ঘোচার নয়। কিন্তু এখন জানা গেছে এমন এক রাজ্যের কথা যেখানে এটা কোন বড় সমস্যা নয়। সেখানে এক বছরের জন্য আপনি বানাতে পারেন যেকোন নারীকে আপনার বউ। মধ্যপ্রদেশের শিবপুরি নামক এক জায়গায় ধড়ীচা নামক এক প্রথা রয়েছে। সেই প্রথা অনুযায়ী বিবাহজোগ্যা কন্যাকে তাদের বাবা এবং মায়েরা নিয়ে এসে দাঁড় করায় এক জায়গায়। 

 সেখানেই চলে দরদাম। যারা বিয়ে করতে চায় এক বছরের জন্য তারা সবচেয়ে বেশী টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারেন পাত্রী। একবছর পর সেই পাত্রীদের সাথে কি হয় সে অবশ্য জানা জায়না। কিন্তু এক বছরের বউ হিসেবে এখানে যে কাউকে পাত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া যায়। ২৫ থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে হয়ে থাকে এক একজন পাত্রীর দাম। আপনারা অনেকেই ভাবতে পারেন যে এতো অনেকটাই দেহ ব্যাবসার মতো শুনতে লাগছে, কিন্ত আসলে এটা দেহব্যবসা নয়। মানুষ বিক্রির মত ব্যাপার। আসলে এখানকার মেয়েদের বাবা মায়েরা খুব গরীব এবং সেইজন্য এটাকেই মনেকরে পয়সা উপার্জন করার এক উপায়। সেইজন্য এরা চায় বছর বছর এদের ঘরে যেন শুধু কন্যা সন্তানই জন্মগ্রহণ করুক। ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন যে এটা তাদের ভালোবাসা থেকে নয়, এক অদ্ভুত বেচা কেনার মানসিকতা থেকে তৈরি হয়েছে যা আসলে হয়তো মানুষ হিসেবে তাদের অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন দেশে মেয়েদের সম্মানের কথা বলি এবং আরো নানা রকম ভাবে জানাতে চাই আমরা মেয়েদের কত সম্মান দিই। কিন্তু দিনের শেষে একজায়গায় আমরা আটকে আছি এবং এরকম কুরুচিপূর্ণ প্রথা বছরের পর বছর একই রকমভাবে চলেই যাচ্ছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.