সুখবর! মেয়ের বিয়েতে পাবেন ২৭ লাখ টাকা


Odd বাংলা ডেস্ক: নমস্কার বন্ধুরা আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটিতে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত।আজ আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। যা আপনাদের অবশ্যই উপকারে আসবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে অবশ্যই পড়ুন আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত আর জেনে নিন বিশদে। এখনও আমাদের সমাজে কন্যাদের অবহেলার চোখে দেখা হয়। কন্যা সন্তান মানেই পরিবারের কাছে বোঝা বলে মনে করা হয়।
আর বিয়ে দিতে চাইলে তো কথাই নেই। সমাজে পণ দেওয়া নেওয়া অপরাধ বলে দাবি করা হলেও সে কথা মানেন ক জন! এখনও অবধি নিজের কন্যাকে পাত্র পক্ষের হাতে তুলে দিতে হয় মোটা পণের বিনিময়ে ‌।তাই মাঝেমধ্যেই দেখা যায় কন্যা সন্তানের বিয়ে দিতে গিয়ে প্রচুর ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েন অনেকে।
আপনার‌ও কি কন্যা সন্তান রয়েছে তবে অবশ্যই পড়ুন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি। এবার কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাদের জন্য বিশেষ পলিসি নিয়ে হাজির হয়েছি এলআইসি। যেখানে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়ের বাবা পেয়ে যাবেন ২৭ লাখ টাকা। তবে নিত্য সামান্য কিছু টাকা পুঁজির বিনিময়ে মাধ্যমে এই বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন কন্যার বাবা। আর যে কোনো সাধারণ মানুষ অতি সহজেই পেয়ে যাবেন এটি।

আসলে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই তাদের জন্য সঞ্চয় করতে শুরু করে দেন বাবা মায়েরা। আর যদি মেয়ে হয় তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। বিয়ের জন্য টাকা জমানো থেকে শুরু করে গয়নার জন্য টাকা জমানোর প্রবণতা রয়েছে আজও। আর সেই বিশেষ দিকটির কথা মাথায় রেখেই , সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এবার দারুণ এক পলিসি নিয়ে হাজির এলআইসি।
তাহলে এবার চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক এলআইসি-র এই পলিসিটির সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে। তথ্য থেকে সংগৃহীত সূত্রানুযায়ী এলআইসি-র ওই বিশেষ প্ল্যানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কন্যাদান যোজনা’। এই পলিসিতে কোনও ব্যক্তি যদি দিন প্রতি ১২১ টাকা করে দেন, তবে ২৫ বছর পর এলআইসি ওই ব্যক্তিকে দেবে পাক্কা ২৭ লক্ষ টাকা।
আর যা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে। আরও বলা হচ্ছে যে এই পলিসিটি করতে চাইলে পলিসিকারীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৩০ বছর। অন্যদিকে মেয়ের বয়স ১ বছর হতে হবে । এই প্ল্যান ২৫ বছরের জন্য, কিন্তু প্রিমিয়াম দিতে হবে ২২ বছরের জন্য। পাশাপাশি এটির একটি বিশেষ দিক হলো যদি কোনো কারণে পলিসিকারকের মৃত্যু ঘটে তাহলে, সেক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের প্রিমিয়ামে ছাড় দিতে হবে।
শুধু এটাই নয়,এর পাশাপাশি পলিসিকারীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে বছর প্রতি ১ লক্ষ টাকাও‌ দেওয়া হবে সংস্থার তরফ থেকে। এ ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য দিকটি হচ্ছে, এতে ওই পলিসির ওপর কোনো রকম ভাবে কোনো প্রভাব পড়বে না। ম্যাচিওরিটি হ‌ওয়ার পর হাতে ২৭ লাখ টাকাই পাবে পলিসিকারীর পরিবার। আশা করি আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি পড়ে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং অন্যদের জানিয়ে দেবেন।


Blogger দ্বারা পরিচালিত.