বাংলা সিনেমা জগতে ফ্লপ খাওয়া দশ নায়ক


Odd বাংলা ডেস্ক: বাণিজ্যিক সিনেমায় টলিউডের নায়কদের নিয়ে বাংলার মানুষ বিভিন্নভাবে ভালবাসা দেখিয়েছেন।উত্তম কুমার থেকে সৌমিত্র চ্যাটার্জি। প্রসেনজিত চ্যাটার্জি থকে তাপস পাল। জিত থেকে দেব। । এসব নায়কদের সিনেমা হলে আসা মানেই মানুষের লম্বা লাইন। সাফল্যের বিপরীত শব্দ যেমন ব্যর্থতা। হিটের বিপরীত শব্দ ফ্লপ। বাংলা সিনেমা তেমন বেশ কিছু নায়ক- দেখা গিয়েছে, যাদের বেশিরভাগ, কারও আবার সব সিনেমাই ফ্লপ। –

১) জয় ব্যানার্জি

এনার নাম তো টলিউড থেকে প্রায় উঠে গিয়েছে।তবে তাঁর সব সিনেমা যে ফ্লপ তা নয়। বরং তাঁর হীরক জয়ন্তী সিনেমাটা মফস্বলের হলে বেশ চলেছিল। কিন্তু বাংলা সিনেমায় জয় ব্যানার্জি-এমন একটা নাম, তিনি এ যুগে এলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হয়ে থাকে। একেবারেই অভিনয় পারতেন না। একেবারেই নায়কসুলভ ব্যাপারস্যাপার ছিল না। তবু নয় নয় করে বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সবগুলোই অঞ্জন চৌধুরীর দুরন্ত চিত্রনাট্য আর পরিচালনার জন্য। এখন চুটিয়ে বিজেপি করছেন।


২) লোকেশ ঘোষ

লোকেশ কিন্তু নয় নয় করে গোটা তিরিশের বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবে বেশিরভাগই ফ্লপ। তার সম্বন্ধে সমালোচকরা বলেন, লোকেশ যাত্রা আর সিনেমাটা গুলিয়ে ফেলে বলেই যত সমস্যা হয়। ২০১০ সালে বেজন্মা নামের এক সিনেমার মাধ্যমে কামব্যাক করেছিলেন। সেই সিনেমাটা ভীষণ রকম ফ্লপ খায়।



৩) অভিষেক চ্যাটার্জি

সুন্দর বাঙালী ছেলে বলতে যা বোঝায় অভিষেক চ্যাটার্জি হলেন তা। সুন্দর মুখ, ভাল চেহারা, মেয়েদের নজর কারবেই। পথভোলা থেকে সংঘর্ষ, তুফান। অভিষেক অনেক হিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কিন্তু সেসবগুলোই হয় তাপস পাল বা প্রসেনজিত-এর সঙ্গে। নিজে যতগুলোতে হিরোর অভিনয়ে ছিল, সেগুলোর বেশিরভাগই ফ্লপ করে। অভিষেক অভিনয়টা মন্দ করেন না। তবু এই প্রসেনজিৎ তাপস পালের দুনিয়ায় তিনি ফ্লপ ই খেয়ে গেলেন।

৪) যশ দাশগুপ্ত

ছোট পর্দায় তিনি অনেক বড় হিট সিরিয়াল করেছেন নাম ‘ বোঝেনা সে বোঝেনা’। বুড়ো থেকে কচি সবাই সে সিরিয়ালের ভক্ত ছিল যদিও। তারপর ২০১৬ সালে গ্যাংস্টার সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ। ক দিন আগে রিলিজ করে টোটাল দাদাগিরি। দুটো সিনেমায় সুপারফ্লপ করে। যশ দাশগুপ্তের অভিনয় নিয়ে ট্রোলিংও শুরু হয়। অভিনয়ে হাসছেন না কাঁদছেন তা নিয়ে ট্রোল শুরু হয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। হ্যা তবে এনার অনেক ফিমেল ফ্যানস্ হয়েছে।


৫) হিরণ চ্যাটার্জি

১০ বছরেরও বেশি আছেন টলিউডে। ২০০৭ সালে নবাব নন্দিনী দিয়ে শুরু। তারপর ভালবাসা ভালবাসা, জ্যাকপট.শুরুটা মন্দ না হলেও কিছু বছর পর হিরমের গায়ে লেগে যায় ফ্লপ হিরোর তকমা। মাচো মস্তান থেকে মেহের আলি। হিরণ নানাভাবে দর্শক মন জেতার চেষ্টা করলেও সেই একঘেয়েমি অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি।

৬) সঞ্জীব দাশগুপ্ত

বাঙলা সিনেমার অন্যতম সুদর্শন নায়ক তিনি। যেমন লম্বা, তেমন চেহারা, তেমন সুন্দর দেখতে। সেদিন চৈত্রমাসের মত চিরকালীন হিট সিনেমার নায়ক তিনি। কিন্তু সঞ্জীব দাশগুপ্ত নায়ক হিসেবে কখনই জায়গা করে নিতে পারেননি। পরে অবশ্য ভিলেন হয়ে এমএলএ ফাটাকেস্টে নজর কাড়েন।


৭) বনি সেনগুপ্ত

সুখেন দাসের নাতি বনি-র অভিনয়টা বেশ ভালো। রক্তেই অভিনয় এনার যদিও। তবে হিরো সুলভ চেহারা নয় বলেই বোধহয় ফ্লপ। ২০১৪ সালে বরবাদ সিনেমার মাধ্যমে শুরু বনির। তারপর ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’-র মত গ্র্যান্ড রিলিজ। কিন্তু বনির সব সিনেমায় বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। রাজ চক্রবর্তী পরিচালনায় ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’ সিনেমাটা বেশ ফ্লপ।

৮) অনুভব মোহান্তি

ওডিয়া সিনেমার বড় নাম। বেশ হ্যান্ডসাম বটে। অনুভব কিন্তু টলিউডে জমি পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খলনায়ক-এর হিট সিনেমা করলেও অনুভব বাঙালী দর্শকদের মন জিততে ব্যর্থ হন




৯) মৈনাক

নায়ক হিসেবে ব্যর্থ মৈনাক। একদমই চলে না তাঁর সিনেমা

১০) মিমো চক্রবর্তী (মিঠুন চক্রবর্তী-র ছেলে)

সুপার ডুপার ফ্লপ। মিঠুনের ছেলে হলে হবে কী মিমো একেবারেই অভিনয় পারেন না। ২০১৩-তে রকি সিনেমার মাধ্যমের টলিউডে পা রেখেছিলেন। কিন্তু রকি দেখে বাঙলার মানুষ শুধু হেসেছিল। মিমো এখন নাম বদলে মহাঅক্ষয় নামে সিনেমা করছেন। মিমো বাংলা সিনেমার জগতে একেবারে সুপার ফ্লপ



Blogger দ্বারা পরিচালিত.