মারা যাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন এই ১৮৪ বছরের বৃদ্ধ


Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতের বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহনকারী এই ১৮৪ বছর বয়সি এই ব্যাক্তির নাম মহাশতা মুরাসি। তার নাতি নাতনিরাও বর্তমানে বেঁচে নেই। অথচ তাকে এখনও মৃত্যু স্পর্শ করতে পারেনি। সেই বৃদ্ধ বলেন “যম বোধ হয় আমাকে নিতে ভুলে গেছে।” শুধু ভারতে নয়, সমগ্র বিশ্বে ১৮৪ বছরের কেউ কখনো বাঁচেনি। গিনেস ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে প্রবীন ব্যাক্তি ছিলেন ফ্রান্সের জিয়ানে লুইস কালমেন্ট। তার মারা যাওয়ার সময় বয়স ছিল ১২২ বছর। তার জন্ম হয়েছিলো ১৮৭৫ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি। তিনি একজন মহিলা ছিলেন। ১৯৯৭ সালের ৪ঠা আগস্ট তার মৃত্যু হয়। 

১২২ বছর বেঁচে নিজের নাম ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খাতায় তুলেছিলেন তিনি। এত বছর সাধারণত কেউ বেঁচে থাকতে পারেনা। তিনি কিভাবে বেঁচে ছিলেন সেটাই রহস্য। কিন্তু মহাশতার বয়স এখন যে ১৮৪ বছর তার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। ওয়ার্ল্ড ডেইলি নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী মহাশতা মুরাসির জন্ম হয় ১৮৩৫ সালে ৬ই জানুয়ারি। তবে এই খবরের সত্যতা এখনও জানা যায়নি। ঐ সংবাদমাধ্যম আরো বলেন যে মুরাসি তাদের কাছে দুঃখ করে বলেছে, “আমার চোখের সামনে আমার বহু নাতি নাতনিদের মারা যেতে দেখেছি। কিন্তু আমাকে আজ পর্যন্ত মৃত্যু গ্রাস করতে পারেনি।” তাই নাকি তিনি এখন মরার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন জীবনের থেকে তার আর কিছু চাওয়ার নেই, এমনকি আগামী জীবনে তার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তার শুধু একটি চাওয়া। আর সেটি হল বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তি হিসাবে আন্তর্জাতিক ও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়া। তিনি তার জীবনে অনেক কিছুই উপভোগ করেছেন। আর এখন সব মিলিয়ে ভালোই আছেন বলে জানিয়েছেন। মুরাসি ১৯০৩ সালে বারানসিতে একজন মুচির কাজ শুরু করতেন। দীর্ঘ দিন কাজ করার পর ১৯৫৭ সালে কর্মবিরতি নেন। তার জন্মের প্রমানপত্র হিসাবে জন্ম প্রমানপত্র, ভারতীয় কার্ড থাকলেও তার কোন মেডিকেল প্রমানপত্র নেই। তিনি শেষ চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন ১৯৭১ সালে। তিনিও আর এখন বেঁচে নেই। তাই মুরাসির বয়সের জট খোলার কোন উপায় নেই। তার বয়স রহস্যই রয়ে গেছে। যদি কখনো তার বয়সের আসল প্রমান পাওয়া যায় তবেই তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসাবে ধরা হবে।

কিন্তু এবার আসা যাক ফ্যাক্ট চেকে। আসলে এই খবরের সত্যতা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। একটু খতিয়ে দেখলেই দেখতে পাবেন মুরাসির বিষয়ে এই খবর বেশ কিছু বিদেশি ওয়েবসাইটেও রয়েছে। এবং যেখান থেকে প্রথম এই খবরটি ছড়ায় সেটা একটা FAKE News ওয়েবসাইট worldnewsdailyreport.com। এখন এই বৃদ্ধ সত্যিই বলছেন কিনা সেটা বিবেচনার বিষয়। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.