ভোররাতেই হয়ে গেল ফাঁসি, মিললো সুবিচার


Odd বাংলা ডেস্ক: দীর্ঘ সাত বছরের অপেক্ষার অবসান। শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত চরম নাটক চলার পর অবশেষে ফাঁসি হল নির্ভয়ার চার অপরাধীর। তিহাড়ের ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ গোয়েল জানিয়েছেন, ঠিক ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপর ৩০ মিনিট দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। তিহাড়ে এই প্রথম একসঙ্গে চারজনের ফাঁসি হল। এই খবর শোনার পরই তিহাড়ের বাইরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা।

ভোরের সূর্য ওঠার আগেই তাদের মেডিক্যাল চেক-আপ করা হয়। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা সবাই সুস্থ আছে। তিহাড় জেলের সামনে ভিড় চোখে পড়ে। ফাঁসি হওয়া পর্যন্ত লকডাউন করে রাখা তিহাড় জেল চত্বরে। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে রাখা হয় গোটা এলাকা।

ফাঁসি আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্তও তা নিয়ে জল্পনা চলে। আইনি সব ফাঁকফোকড় ব্যবহার করে অপরাধীরা। ফাঁসির নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র ৪ ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নির্ভয়ার খুনিদের আইনজীবী। তাদের মৃত্যুদণ্ড রদের আরজি রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে নতুন আবেদনটি করা হয়। রাত ২টো ৩০ মিনিটে সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে বলে প্রাথমিকভাবে স্থির হয়। রাত ২টো ২০ মিনিট নাগাদ সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে পৌঁছন নির্ভয়ার অভিভাবকরা। যদিও তাঁদের আদালতের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.