করোনা শান্ত হতেই চিনে থাবা বসাল হান্টাভাইরাস, মৃত ১,কী এই ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য?


Odd বাংলা ডেস্ক: চিনেই সূত্রপাত হয়েছিল মারণ রোগ করোনাভাইরাসের। এই ভাইরাসের জেরে চিনে মারা গেছেন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। বর্তমানে চিনের পরিস্থিতি যখনম একটু একটু করে স্বাভাবিক হওয়ার পথে তখন চিনে থাবা বসাল আর এক প্রাণঘাতী ভাইরাস, হান্টাভাইরাস। যার ফলে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিনের গ্লোবাল টাইমস-এর তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তি চিনের ইউনান প্রদেশের বাসিন্দা। সোমবার তিনি বাসে করে শ্যানডং প্রদেশে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই বাসেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাসের অন্য ৩২ যাত্রীরও নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

কি এই হান্টা ভাইরাস? 

এই ভাইরাস মূলত ইঁদুর দ্বারা বাহিত একটি রোগ, যা বিশ্বব্যাপী সারা মানুষের শরীরে খুব সহজেই বিস্তার লাভ করতে পারে। হান্টাভাইরাস মানুষের শরীরে প্রভাব বিস্তার করে এক কঠিন ব্যধি সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হান্টা ভাইরাস 'নিউ ওয়ার্ল্ড' হান্টাভাইরাস নামে পরিচিত। আর 'ওল্ড ওয়ার্ল্ড' হান্টাভাইরাস মূলত এশিয়া এবং ইওরোপ মহাদেশে পাওয়া যায়। 

রিপোর্ট বলছে ২০১২ সালে মুম্বইয়ে ১২ বছর বয়সী একজন হান্টাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল। 

হান্টা ভাইরাসের কারণ কী? 

হান্টা ভাইরাস আক্রান্ত ইঁদুর যদি মানুষকে কামড়ায় তাহলে ভাইরাস খুব সহজেই সংক্রামিত হতে পারে। 

হ্যান্টাভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী?

হান্টাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। ১ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাস আক্রান্তের শরীরে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, অবসাদ, পেশীতে যন্ত্রণা (বৃহৎ পেশী শরীরের যেখানে আছে যেমন, থাই, নিতম্ব, পিঠ, কাঁধে তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হয়)। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ঠান্ডা অনুভব হওয়া, পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি ভাব, এবং ডায়রিয়া হয়ে থাকে। আর অ্যাডভান্স স্টেজে রোগীর তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। 

কীভাবে ছড়ায় এই হান্টাভাইরাস? 

হান্টাভাইরাস বহনকারী ইঁদুরের সংস্পর্শে এলে বা সেই ইঁদুরের কামড় খেলে রোগী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। পাশাপাশি এমন ইঁদুরের বাসা, প্রস্রাব, লালারস-এর সংস্পর্শে এলেও এই রোগ হতে পারে। তবে এই ভাইরাস এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রামিত হতে পারে না। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.